বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঋণখেলাপিতে শ্রীলঙ্কাকেও ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ: ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২১ মে, ২০২৩ ১৯:৫০

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও নীলনকশার ভোট হবে। নির্বাচন কমিশন একটা নির্বাচন দেখানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা পুরো নির্বাচনকে তাদের মতো করে নিয়ে যাবে।’

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে সরকার বেমালুম ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও নীলনকশার ভোট হবে। বেশিরভাগ সিটি করপোরেশনে বিরোধী দল কোনো প্রার্থী দিচ্ছে না।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাগপার একাংশ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের অপকর্ম বলে শেষ করা যাবে না। এনাফ ইজ এনাফ। এই সরকার যদি আর একটা মুহূর্ত দেশের পরিচালনায় থাকে, দেশ আরও খারাপের দিকে যাবে।

‘আজ পত্রিকায় এসেছে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তার রিপোর্টে বলছে যে বাংলাদেশ ইজ চ্যাম্পিয়ন অফ ডিফল্ট লোনস। এই যে খেলাপি ঋণ, এটাতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে। এক শ্রীলঙ্কা ছিল, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

‘খেলাপি ঋণ কেন হবে না? যারা ঋণ নেয়, শোধ করে না। তারা তো তাদের অ্যাডভাইজার, মন্ত্রী। আমি নাম বলব না। হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তারা রিসিডিউল করছে বছরের পর বছর ধরে। আর আমাদের ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা একটি-দুটি ডিফল্ট হলেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে যাচ্ছে, কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সিলেটে দুই বার মেয়র হয়েছেন আরিফ। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নেতাকে সিলেটের মানুষ আবারও মেয়র হিসেবে চায়। সেই আরিফ শনিবার জনসভা করে বলেছেন, এ নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না, নির্বাচনই হবে না। তারা ব্লু প্রিন্ট করে ফেলেছে। এ নির্বাচনে যাওয়ার অর্থই হয় না, এটা অর্থহীন হবে।

‘আপনারা দেখেছেন সিলেটের মানুষ চোখের পানি ফেলেছে যে, তাদের প্রিয় নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, আমি মনে করি যে, এ নির্বাচন অর্থহীন হবে এবং এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, সব জায়গায় একই অবস্থা। আজ প্রতিটি নির্বাচনকে একই অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠানটাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এটাই হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদীদের হাতিয়ার।

‘নির্বাচন একটা টুল। দেখাবে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কথা বলবে। তারা একটা নির্বাচন দেখানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা পুরো নির্বাচনকে তাদের মতো করে নিয়ে যাবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অত্যন্ত পরিষ্কার, স্পষ্ট ও দৃঢ় উচ্চারণ যে, এ সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনার সরকার থাকলে কোনো নির্বাচন হবে না। একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অবস্থা এমন হয়েছে যে তাদের ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব রাশেদ খান মেনন কিছুদিন আগে বলেছেন, পরিকল্পিত নির্বাচন চাই না। ম্যাসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার- আওয়ামী লীগ পরিকল্পিত নির্বাচন করে, সেই নির্বাচন তিনি চান না।

‘আরেক প্রতিমন্ত্রী বলেছেন- এখানে মন্ত্রীরাই সিন্ডিকেট তৈরি করে, তারাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে। এসব আমার কথা নয়, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন।’

জাগপার সভাপতি খন্দকার লুতফর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন-বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার আবিদুর রহমান, আসম মেজবাহ উদ্দিন, হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর