বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গঙ্গাচড়ায় আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি সাড়ে চার হাজার পরিবার

  • গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি   
  • ৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৪৩

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় হঠাৎ বন্যায় তিস্তাপাড়ের অন্তত সাড়ে চার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিস্তার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং অব্যাহত বর্ষণের ফলে নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পায়। এর প্রভাবে কোলকোন্দ, আলমবিদিতর, নোহালী, গঙ্গাচড়া সদর, লক্ষীটারী ও মর্নেয়া ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

পানিবদ্ধ এলাকায় বাগডোগরা, মিনারবাজার, আনন্দবাজার, বিনবিনা, চর মটুকপুর, চিলাখাল, বাগেরহাট, চর শংকরদহ, কাশিয়াবাড়ী, ইচলি ও চর ছালাপাকসহ শতাধিক বাড়ি, স্কুল ও রাস্তা তলিয়ে গেছে। কৃষি জমি এবং ফসলও পানিতে ডুবে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, গত রোববার বিকেল থেকেই তিস্তার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাত ১১টার দিকে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠে। সোমবার বেলা ১১টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে। পানি নামতে শুরু করায় নদীর তীরে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।

চর শংকরদহের কৃষক আব্দুল হালিম বলেন, ‘রাতারাতি পানি বেড়ে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। এখন পানি নামছে, কিন্তু ভাঙনের কারণে কাল সকালে বাড়ি থাকবে কি না তা আমরা জানি না।’

গৃহবধূ রহিমা বেগম জানান, ‘আমরা তিন দিন ধরে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। বাচ্চা ও গরু নিয়ে পরিস্থিতি খুব কষ্টকর। এখনো ত্রাণ পাইনি।

কোলকোন্দের কৃষক সালাম উদ্দিন বলেন, ‘আমনের খেত দেড় একর ছিল। সব পানিতে তলিয়ে গেছে। গরু খাওয়ানোর ঘাসও নেই।’

উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করীম জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং তাদের সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে প্রায় ২০ হেক্টর আমন ধান, ১ হেক্টর মাসকলাই, ২ হেক্টর বীজবাদাম এবং ০.৫ হেক্টর সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন সক্রিয়। আমরা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।

স্থানীয়রা দ্রুত ত্রাণ এবং নদীভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর