বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাচারকারীর হাত থেকে বেঁচে ঠাঁই হলো ইকোপার্কে

  • প্রতিনিধি, ফেনী    
  • ২০ মে, ২০২৩ ১৬:১০

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাদাৎ হোসেন জানান, ফেনী মডেল থানার বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাচারকারী কনক চন্দ্র দাসকে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে ১০৮টি বিলুপ্তপ্রায় সুন্দি কাছিম উদ্ধার করা হয়। কনক তিনটি ক্যারেটে ভরে কাছিমগুলো ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল।  

ফেনীতে অভিযান চালিয়ে পাচারকারীর কাছ থেকে বিলুপ্তপ্রায় ১০৮টি সুন্দি কাছিম উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর বিসিক মোড় থেকে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে পাচারকারীকে আটক এবং বিলুপ্তপ্রায় ১০৮টি সুন্দি কাছিম উদ্ধার করা হয়।

আটক ৫৫ বছর বয়সী কনক চন্দ্র দাস লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

শনিবার দুপুরে শহরের সন্নিকটে কাজিরবাগ ইকোপার্কে কাছিমগুলো অবমুক্ত করা হয়। এ উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাদাৎ হোসেন।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাদাৎ হোসেন জানান, ফেনী মডেল থানার বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাচারকারী কনক চন্দ্র দাসকে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে ১০৮টি বিলুপ্তপ্রায় সুন্দি কাছিম উদ্ধার করা হয়। কনক তিনটি ক্যারেটে ভরে কাছিমগুলো ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল।

উদ্ধার হওয়া কাছিমগুলো শনিবার দুপুরে কাজিরবাগ ইকোপার্ক ও কালিদাস পাহাড়লিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আটক কনক জানায়, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন চর এলাকার লোকজনদের নিকট হতে কাছিমগুলো তারা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে নিজ হেফাজতে রেখে ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদারীপুর, সাতক্ষীরা ও খুলনায় দীর্ঘদিন যাবত কাছিম পাচার করে আসছেন।

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, সুন্দি কাছিম স্থানীয়ভাবে ‘চিতি কাছিম’ নামেও পরিচিত। দুই থেকে তিন দশক আগেও দেশের নদী, খাল, বিল, হাওর ইত্যাদি জলাশয়ে প্রচুর সুন্দি কাছিম দেখা যেত, তবে বাসস্থান ধ্বংস ও ক্রমাগত শিকারের কারণে এই জলজ প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছে।

সামাজিক বন বিভাগ ফেনীর সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক জানান, পরিবেশের বিভিন্ন বিপর্যয় ও তাদের আবাসস্থল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই কাছিমগুলো ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কাছিমগুলো উদ্ধারে সামাজিক বন বিভাগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা এবং কাছিমগুলোকে অবমুক্ত করার ক্ষেত্রে যথাযথভাবে সহযোগিতা করেছে।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, প্রাণীটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী সংরক্ষিত। তাই সুন্দি কাছিম হত্যা বা এর ক্ষতিসাধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আটক হওয়া পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এ বিভাগের আরো খবর