পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অন্য অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভালো ও দক্ষ উপায়ে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। খবর ইউএনবির
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে এবং দক্ষতার সঙ্গে নিরাপত্তা দেয়া অব্যাহত রাখবে।’
তিনি আরও জানান, সরকার এই বিষয়ে অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছে এবং তাদের হাতে আরও অনেক কাজ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বর্তমানে বিশেষ শাখা থেকে দুজন গানম্যানসহ ১৫৮ জন নিরাপত্তা কর্মী পরিষেবা পাচ্ছে। এর মধ্যে প্রত্যেক দূতাবাস, বাসভবন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ৩৯ জন করে নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে এবং এগুলোর মোট সংখ্যা ১১৭ জন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অন্যান্য কূটনীতিকদের বাসভবনের জন্য আরও ৩৯ জন নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, এসকর্ট হিসেবে ব্যবহার করা অতিরিক্ত ৮ জন কর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে বর্তমানে ৩৯ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং দুইজন গানম্যান রয়েছে এবং ৭ জন অতিরিক্ত কর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের হাইকমিশন ৪০ জন নিরাপত্তা কর্মী পায় এবং ঢাকায় সৌদি দূতাবাস ৪৮ জন নিরাপত্তা কর্মী পায়।
এর আগে বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বৃহস্পতিবার বা রোববার ঢাকায় কূটনৈতিক মিশনের জন্য আনসাররা যে বিকল্প নিরাপত্তা পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে, সে বিষয়ে সরকার জানিয়েছে।
বাংলাদেশের আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তারা (আনসার) তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছে। আমরা এক ধরনের ধারণা পেয়েছি, সেই তথ্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় আমরা বিদেশি মিশনে জানিয়ে দেবো।
পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সম্ভব না হলে ২১ মে’র মধ্যে একটি নোট মৌখিকভাবে মিশনগুলোকে জানাবেন তারা।
আনসার মহাপরিচালক বলেছেন, আনসার ব্যাটালিয়ন অবিলম্বে রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রোটোকল দিতে প্রস্তুত। আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ইতোমধ্যে সংসদসহ সারা দেশে এ ধরনের প্রটোকল দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র সচিব বলেছিলেন, সরকার চার কূটনীতিকের জন্য ‘অতিরিক্ত নিরাপত্তা এসকর্ট’ প্রত্যাহার করায় বিকল্প হিসেবে ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনগুলোতে আনসার (একটি আধাসামরিক সহায়ক বাহিনী) পরিষেবা অফার করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বুধবার তারা (আনসার বাহিনী) কী কী সুযোগ-সুবিধা দিতে পারবেন এবং এই সেবা নিতে ইচ্ছুক মিশনগুলোর সঙ্গে কিভাবে সংযোগ গড়ে তুলতে পারেন সে বিষয়ে আনসার মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সরকার ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে আয়োজক দেশ হিসেবে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন এবং বিদেশি মিশন ও তাদের কর্মীদের নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।