গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দিলে তার ২০ থেকে ৩০ শতাংশই টুইস্ট হয়ে যায় বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘টুইস্টেড হয়ে ভিন্ন বক্তব্য দাঁড়িয়ে যায়। আর এতে করে অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে সোয়া এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটা দাবি করেন। আর সেজন্য তাকে সতর্ক হয়ে কথা বলতে হয় বলেও জানান সিইসি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে ভোট আয়োজনকারী সংস্থাটির প্রধান বলেন, ‘আপনারা কাইন্ডলি বক্তব্যটাকে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রকাশের চেষ্টা করবেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘উনি (কাদের সিদ্দিকী) আশ্বাস চেয়েছেন যে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব শক্তভাবে পালন করবে। আমরা ওনাকে আশ্বাস দিয়েছি যে যতদূর সম্ভব আমাদের সাধ্য অনুযায়ী দায়িত্ব প্রতিপালনের চেষ্টা করব।
‘এটাও বলেছি, নির্বাচন কমিশনের ওপর একটা বড় দায়িত্ব আছে নির্বাচন আয়োজনের। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোরও দায়িত্ব রয়েছে সার্বিকভাবে নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া। প্রতিকূল পরিবেশ বিরাজ করলে আমাদের জন্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়তে পারে।’
নির্বাচন কমিশন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের দিকে তাকানোটা আমাদের দায়িত্ব নয়। ভোটাররা নির্ভয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে কি না সেই চেষ্টাটাই মূলত আমরা করব।’
নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক সরকার বা আমলাতান্ত্রিক সরকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সরকারের ওপর আমাদের যে নিয়ন্ত্রণ আছে, আমলাতান্ত্রিক সরকারের ওপর আইনে আমাদের যে নিয়ন্ত্রণ আছে সেটি প্রয়োগের চেষ্টা করব।’
নির্বাচনে সরকারের সদিচ্ছা অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে অনেকটা। পুলিশের একটা ভূমিকা থাকে নেতিবাচক। স্বচ্ছতায় মিডিয়ার ভূমিকাও থাকবে।’
বৈঠকে কাদের সিদ্দিকী যে কথাগুলো নির্বাচন কমিশনকে বলেছেন সেই কথাগুলো বার বার মাঠে বলার পরামর্শ দেন সিইসি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এ পর্যন্ত যেসব নির্বাচন করেছি সেগুলো মোটামুটি তুলনামূলকভাবে সুশৃঙ্খল হয়েছে। আমি বলবো না অ্যাবসোলিউটলি হয়েছে। তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারের পুলিশ ও প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের তরফ থেকে অসহযোগিতা পাইনি।’