কুমিল্লা লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকা থেকে ছেলেধরা চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লাকসাম রেলওয়ে জংশন এলাকার আজমিরি হোটেলের সামনে থেকে শনিবার বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ছেলেধরা চক্রের দুই সদস্য হলেন ৫০ বছর বয়সী মো. মোবারক হোসেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষার্থী ২৭ বছর বয়সী ইমন খান জিলন রায়হান।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় শনিবার লাকসাম জংশন এলাকার আজমিরি হোটেলের সামনে থেকে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য মোবারক ও জিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছে থাক থেকে চাঁদপুর ওয়ারলেস বাজারের ফজলুল উলূম হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ১৩ বছর বয়সী মো. আবু সাঈদ, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি আমলনগর এলাকার ১৪ বছর বয়সী মেহেরাজ হোসেন, ঢাকা মুগদার মারকাজুল কওমী মাদ্রাসার ছাত্র ১২ বছর বয়সী মো. শরিফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের অলংকার মোড়ের দারুস সুন্নাহ আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ১৫ বছর বয়সী মো. ইমাম হাসান, চৌদ্দগ্রামের গুণবতী এলাকার জামিয়া ফারুকিয়া এমাদুল উলূম মাদ্রাসার ছাত্র ১৫ বছর বয়সী মো. তামিম ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার ১৫ বছর বয়সী মো. ফাহিমকে উদ্ধার করা হয়।
লাকসাম থানার উপপরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মোবারক ও জিলন এসব শিশুদের কৌশলে ধরে এনে ভিক্ষা কিংবা চাঁদা তোলার কাজে ব্যবহার করছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে এসব শিশুদের সংগ্রহ করেন। তবে তারা কি শুধু চাঁদা তোলা কিংবা ভিক্ষার কাজই করায় নাকি পাচার করার জন্য শিশুদেরকে ধরে এনেছে কিংবা কোথায় নিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল সে ব্যাপারে আরও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত আবু সাঈদের বাবা মো. শাহীন খান বাদী হয়ে চক্রের আটক হওয়া দুই সদস্যসহ অজ্ঞাত আরও একজনকে আসামি করে মানবপাচার আইনে মামলা করেছেন। আসামিদের রোববার বিকেলে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।