বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘূর্ণিঝড় মোখা: দুই দ্বীপে ১৭০০ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

  • প্রতিনিধি,টেকনাফ   
  • ১৪ মে, ২০২৩ ১৯:২৭

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে তীব্র গতিতে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় দ্বীপের অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এই দ্বীপে ১২০০ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে ঝড়ে এক নারীর মৃত্যুর কথা বলা হলেও তা সঠিক নয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।’

ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' প্রচণ্ড গতিতে উত্তর মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফসহ উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সেন্ট মার্টিন ও শাহ পরীর দ্বীপসহ কয়েকটি উপকূলীয় এলাকা। এসব এলাকায় ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উপড়ে পড়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‌‘বিকেল ৩টার দিকে সেন্ট মার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন বাড়িঘর ভেঙে গেছে।’

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সকাল থেকে তীব্র গতিতে বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় দ্বীপের অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ১২০০ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে ঝড়ে এক নারীর মৃত্যুর কথা বলা হলেও তা সঠিক নয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি।

’বসতবাড়ির মানুষগুলো বর্তমানে আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। তাদের ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের সহায়তা করা হবে।’

সেন্ট মার্টিনের কলেজ শিক্ষার্থী কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘মোখার তাণ্ডবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঘরবাড়ির টিনের চাল, ছাউনি, কাঠ ও বাঁশ উড়িয়ে উড়ে গেছে। গাছপালা ভেঙে পড়েছে। দোকানপাট উড়ে গেছে। তবে বাতাসের গতি ধীরে ধীরে কমে আসছে।’

টেকনাফে কয়েকটি এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ঘরবাড়ির চালা উড়ে যাওয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে। টেকনাফ সদর, পৌর এলাকা, সাবরাং, কল্যাণপাড়া, জাদিমুড়া রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় লোকজনকে সড়ক থেকে গাছ সরাতে দেখা যায়।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানিয়েছেন, ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ৫ শত বসতবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘ শাহ পরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিনে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও গাছপালা ও কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিসংখ্যান এখনই বলা যাচ্ছে না। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

এ বিভাগের আরো খবর