শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এ জন্য কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ঘূর্ণিঝড় মোখা সংক্রান্ত প্রস্তুতিবিষয়ক কর্মসূচির বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি গতকালই তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি মিয়ানমার ও কক্সবাজারে আঘাত হানতে পারে। এটি ক্রমান্বয়ে উত্তর, উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। মোখার আঘাতে দেশের কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল ও ভোলা জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত রাত থেকেই কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম জেলায় বিপদাপন্ন জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বিপদের সম্মুখীন সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত মানুষের নিরাপত্তায় গতকালই সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে অবস্থানরত অন্তত ৮ হাজার ৫০০ মানুষকে সর্বোচ্চ জলোচ্ছ্বাস মাত্রার সুপার সাইক্লোন মোকাবিলায় সক্ষম ৩৭টি অবকাঠামোয় নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কাজে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ, সশস্ত্র বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ পুলিশ, কোস্ট গার্ড, আনসার-ভিডিপি, বিভিন্ন এনজিও, স্থানীয় সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সহায়তা করছে।
‘দুর্গম এলাকা, চরাঞ্চল থেকে মানুষকে উদ্ধারের জন্য আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের সহায়তা নেয়া হচ্ছে।’
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাই পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। সে বিষয়েও প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’