বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র খবরে বাসিন্দারা ছাড়ছেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

  • প্রতিনিধি, টেকনাফ   
  • ১২ মে, ২০২৩ ১২:৩৩

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা কলেজপড়ুয়া কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘সকাল থেকে দ্বীপ থেকে মানুষ টেকনাফের উদ্দেশে চলে যাচ্ছে। আমরাও ভাবছি, পরিবার নিয়ে টেকনাফে চলে যাব। মোখা আঘাত হানলে দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে। এমনিতেও সাগরে সামান্য পানি বাড়লে দ্বীপের চারদিক ভেসে যায়।’

‘মোখা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার খবরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফে যাচ্ছেন বাসিন্দারা।

শুক্রবার সকাল থেকে প্রায় ৫০০ বাসিন্দা দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় চলে গেছেন।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা কলেজপড়ুয়া কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘সকাল থেকে দ্বীপ থেকে মানুষ টেকনাফের উদ্দেশে চলে যাচ্ছে। আমরাও ভাবছি পরিবার নিয়ে টেকনাফে চলে যাব। মোখা আঘাত হানলে দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে। এমনিতেও সাগরে সামান্য পানি বাড়লে দ্বীপের চারদিক ভেসে যায়।’

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেন্ট মার্টিনে আশ্রয়কেন্দ্রের সংকট থাকায় মোখা আসার খবরে তারা আতঙ্কিত। এ জন্য যাদের পক্ষে সম্ভব তারা টেকনাফসহ বিভিন্ন শহরে আত্মীয়-স্বজন ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলে যাচ্ছেন, তবে বেশিরভাগ বাসিন্দাই দ্বীপ ছাড়তে নারাজ।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘এ ঝড়ের মধ্যেই তো আমরা বাড়ছি। সাগরের মাঝে থাকি। আমরা দ্বীপ ছেড়ে যাব কোথায়?’

এ পরিস্থিতিতে দ্বীপেই নিরাপদ আশ্রয়ে বাসিন্দাদের নিয়ে আসতে জোর দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হলে দ্বীপের তিন তলা সরকারি হাসপাতাল, জেলা পরিষদ, নৌবাহিনী ও পুলিশের ভবনসহ প্রায় ৩০০টি হোটেল-কটেজে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

টেকনাফ আবহাওয়া কার্যালয়ের পর্যবেক্ষক আবদুল মতিন বলেন, ‘উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ৮৭টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ জোন সেন্ট মার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের জন্য নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেডিক্যাল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।’

এদিকে টেকনাফের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এগুলো বিপুল পরিমাণ বাসিন্দার আশ্রয়ে সক্ষম নয়।

টেকনাফ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গৌর চন্দ্র দে বলেন, ‘উপজেলার ১৯টি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তবে এরই মধ্যে যেসব ভবন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে, সেখানে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলেও আশ্রয় নেয়া সম্ভব নয়।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘কোনো আশ্রয়কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হলে অন্য ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে রাতারাতি নতুন শেল্টার করা সম্ভব নয়।

‘দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপের জন্য আমাদের নৌবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপে বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ডের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর