সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, গাড়ির চালক ও গানম্যান কোনো প্রকার বকশিশ বা টিপস নিলে দুর্নীতির অভিযোগে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের বেঞ্চ অফিসার মো. সেফাত উল্লাহ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। ৭ মে দেয়া বিজ্ঞপ্তিটি এজলাস কক্ষের বাইরে টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কার্যতালিকায় মামলা ওঠার আগে বা পরে, মামলার রায়, জামিন আদেশ বা অন্য যে কোনো আদেশ হওয়ার আগে বা পরে বা অন্য যে কোনো সময় এই কোর্টের বেঞ্চ অফিসার, সহকারী বেঞ্চ অফিসার, বিচারপতির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, কোর্টের জমাদার, কোর্ট বা চেম্বারের এমএলএসএস, বিচারপতির ড্রাইভার এবং গানম্যানসহ অত্র কোর্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বকশিশ বা টিপস নেয়ার নামে কোনো প্রকার অর্থ, উপহারসামগ্রী, গাড়ি সেবা বা অন্য কোনো নামে কোনো ধরনের সুবিধা গ্রহণ বা নেওয়া দুর্নীতি বলে গণ্য হবে।
এতে বলা হয়, এই কোর্টের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত পাওয়া গেলে আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী এবং এই কোর্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হলো।
আদালতের এই উদ্যোগ স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ আইনজীবীরা।
আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান বলেন, আমরা যখন আদালত থেকে কোনো আদেশ বা রায় পক্ষে পেয়ে কোর্টরুম থেকে বের হই, তখন কোর্ট সংশ্লিষ্ট অনেকেই বকশিস দাবি করেন। তখন তাদেরকে বকশিস দিতে হয়। অনেক সময় আমরা নিজেরাও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ি। এটাও এক ধরনের দুর্নীতি। অবশ্যই এটা বন্ধ হওয়া উচিত। আদালতের এটি একটা ভালো উদ্যোগ বলে আমি মনে করি।
সুপ্রিমকোর্টের আরেক আইনজীবী আঞ্জুমান আরা বলেন, এটা একটি ভালো পদক্ষেপ। শুধু বকশিস আদায় না, সেকশনের দুর্নীতিও বন্ধ করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।