রাজধানীর কলাবাগানে লেক সার্কাস রোডের একটি বাসা থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভির রিপোর্টার কুদরত-ই খুদা হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এই সাংবাদিকের পরিবারের পক্ষ কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে বাসাটির ছাদের একটি চিলে কোঠা থেকে হৃদয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে কলাবাগ থানা পুলিশ। হৃদয় টেলিভিশনটির মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুদরত-ই খুদা হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার মামা বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে তার বান্ধবীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। এজন্য জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ওই তরুণীর পরিবারের লোকজনও থানায় এসেছিলেন। তারা সবাই চলে গেছেন। এছাড়া যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনজুরুল ইসলাম সজীব বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাড়া বাসায় প্রেমিকার সঙ্গে হৃদয়ের কথা কাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পুলিশ যাওয়ার আগেই হৃদয়ের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে ফেলা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’
পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই মনজুরুল আরও বলেন, ‘নিহত সাংবাদিকদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর হোসেনপুর গ্রামে। তার বাবার নাম আরিফ আহমেদ মিঠু। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’