বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ মে, ২০২৩ ১৮:৫৫

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফ্রেরুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জের লালদিঘীর ফতেহপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব ২০০৯ সালের ৯ মে রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফ্রেরুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জের লালদিঘীর ফতেহপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব ২০০৯ সালের ৯ মে রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক সোমবার এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এই বিজ্ঞানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যন্ত মেধাবী এই শিক্ষার্থী লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজনীতি সচেতনও ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের পক্ষ হয়ে ১৯৬১-৬২ শিক্ষাবর্ষে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৬২ সালের কুখ্যাত শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।

দেশ-বিদেশের বৈজ্ঞানিক জার্নালগুলোতে ড. ওয়াজেদ মিয়ার প্রকাশিত অনেক গবেষণাপত্র বিজ্ঞানী মহলে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের গবেষকদের জন্য পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণাসূত্রে লিখিত তার কয়েকটি বিখ্যাত বই রয়েছে।

সারাজীবন তিনি বিজ্ঞানের গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ একদিন পরমাণু শক্তিকে জনগণের কল্যাণে সুচারুভাবে ব্যবহার করবে- ওয়াজেদ মিয়া মৃত্যুবরণের আগে পর্যন্ত এই স্বপ্ন দেখেছেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের বিষয়ে তিনি অত্যন্ত উৎসাহী ও আশাবাদী ছিলেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৯৬৭ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেলে রাজবন্দি থাকা অবস্থায় তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন হওয়া সত্ত্বেও এই মহান বিজ্ঞানী তার স্ত্রীর রাজনীতি ও সরকার পরিচালনায় কখন‌ো প্রভাব বিস্তার করেননি। স্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি কখনও কোনো তদবির করেননি বা কোনো ব্যক্তিগত সুবিধা নেননি।

এমনকি পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাভাবিক দায়িত্বকাল শেষ হওয়ার পর অনেকের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি সেই মেয়াদকাল প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বর্ধিত করার চেষ্টা করেননি। প্রধানমন্ত্রীও নিজের স্বামীকে এমন সুবিধা দেয়ার কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ চেষ্টা করেননি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা এক বিরল ঘটনা।

বিবৃতিতে গবেষণায় নিবেদিতপ্রাণ মহান ও নীতিনিষ্ঠ এই বিজ্ঞানীকে বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে পরম শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর