বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ হাসিনা ৭ মে না ফিরলে দেশে গণতন্ত্রও ফিরত না: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৭ মে, ২০২৩ ১৭:৫৯

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে পদার্পণ করেন। আর ৭ মে তার বিদেশ থেকে দ্বিতীয় দফা প্রত্যাবর্তনের দিন। প্রকৃতপক্ষে আজ গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মানসকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৭ সালের ৭ মে সব রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশে ফিরে না এলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রও ফিরে আসত না।’

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলার স্থপতি’ শীর্ষক ৭ খণ্ড বইয়ের প্রকাশনা এবং গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে পদার্পণ করেন। আর ৭ মে তার বিদেশ থেকে দ্বিতীয় দফা প্রত্যাবর্তনের দিন। প্রকৃতপক্ষে আজ (রোববার) গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মানসকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।’

বাংলাদেশ খ্রীষ্টান যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইলারিশ আর গোমেজের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, বিশপ থিওটোনিয়াস গোমেজ প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “৭ মে একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছিল। এরপর তার দেশে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

“বঙ্গবন্ধু-কন্যা বলেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। আমি ঢাকায় গিয়ে মামলা লড়ব।’ আমি তখন তার বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করতাম। বিমানবন্দরে আমিও গিয়েছিলাম। বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় কোনো মানুষ দেখিনি। বিমানবন্দর থেকে যখন তিনি আসছিলেন তখন রাস্তার দু’ধার ছাপিয়ে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ চলে আসে শেখ হাসিনাকে বরণ করার জন্য।”

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেমন অসীম সাহসী ছিলেন তেমনই তার কন্যাও অসীম সাহসী। তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি প্রচণ্ড সংকটের মধ্যেও ধৈর্য্য হারান না, যেমন বঙ্গবন্ধু হারাননি।

‘বঙ্গবন্ধুকে ২৫ মার্চ যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন শুধু সেনাবাহিনী গিয়েছিল তা নয়, তাকে গ্রেপ্তারের আগে চারপাশে বিভিন্ন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, ধানমন্ডি এলাকায় গোলাগুলি করা হয়। তিনি সে সময় ধৈর্য্য হারাননি। বঙ্গবন্ধু বরং পাকিস্তানিদের বলেছিলেন- তোমাদের এতো গোলাগুলি-বিস্ফোরণ ঘটানো, মানুষকে কষ্ট দেয়ার প্রয়োজন ছিল না। আমার কাছে এলেই তো আমাকে নিয়ে যেতে পারতে। তাকে গ্রেপ্তারের পূর্ব মুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও প্রচন্ড সংকটে ধৈর্য্য হারাননি।’

তথ্যমন্ত্রী ‘বাংলার স্থপতি’ বইয়ের গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশ্লেষণধর্মী ইতিহাসভিত্তিক এই গ্রন্থ রচনার জন্য দীলিপ বাগচী এবং তার পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আগামীতে বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গ্রন্থ রচনার জন্য তাকে অনুরোধ জানাই।’

ড. হাছান আরও বলেন, ‘এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্নজন প্রচুর বই লেখে। অনেক ক্ষেত্রে লেখার প্রতিযোগিতাও তৈরি হয়েছে। আর সেটি করতে গিয়ে অনেক ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে এবং বইয়ের মান রক্ষিত হচ্ছে না।

‘আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর ওপর দেশ-বিদেশে যেসব বই রচিত হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলা প্রয়োজন। বইতে কোনোভাবেই যেন ন্যূনতম ইতিহাস বিকৃতি না ঘটে সে ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত।’

এ বিভাগের আরো খবর