বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংস্কার হচ্ছে কালুরঘাট সেতু, চলবে ফেরি

  • প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম   
  • ৬ মে, ২০২৩ ১৮:৩৩

কালুরঘাত সেতুটির মূল ১৯টি স্প্যানের মধ্যে ৮টির অবস্থা খুবই খারাপ। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।

নতুন করে তৈরির আগে কক্সবাজারের ট্রেন চলাচল শুরু করতে সংস্কার করা হচ্ছে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু। জুন থেকে শুরু হওয়া এ সংস্কার কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ছয় মাস। তবে মাস তিনেকের মধ্যেই ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হবে এই সেতু। সেই হিসেবে সংস্কার শেষে আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই কক্সবাজারের ট্রেন চলাচল করবে পুরোনো সেতুর ওপর দিয়েই। সংস্কারের সময় বন্ধ থাকবে সেতু, বিকল্প হিসেবে কর্ণফুলীতে চলবে দুটি ফেরি।

শনিবার নগরীর সার্কিট হাউজে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। সেতুর সংস্কার কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফেরি সার্ভিস চালু সংক্রান্ত বিষয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় রেলওয়ে, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ), আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসনসহ সব অংশীজনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

সভার শুরুতে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে কালুরঘাট সেতুর বর্তমান অবস্থার চিত্র তুলে ধরেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা।

তিনি জানান, ১২ টন বহনে সক্ষম এই রেল সেতুটি ১৯৩১ সালে চালু করা হয়েছিল। ১৯৬২ সালে রেলের পাশাপাশি সড়কও চালু করা হয়। ৯০ বছরের পুরনো এ সেতুটি বর্তমানে ১০ টন বহনে সক্ষম। সেতুর স্প্যানগুলো পুরাতন হয়ে গেছে। পরামর্শক সংস্থা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞ দল সেতুটির স্প্যান, পাটতনসহ সব অংশের চিত্র তুলে আনে।

এতে দেখা গেছে, সেতুটির মূল ১৯টি স্প্যানের মধ্যে ৮টির অবস্থা খুবই খারাপ। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। সংস্কারের সময় সেতুটি বন্ধ রাখতে হবে।

রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি সংস্কার করতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। কক্সবাজারের ট্রেন চলবে এই সেতুর ওপর দিয়ে। তাই এটি সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ট্রেন চালানো যাবে না।

‘আগামী ২০ জুন থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে, আমরা ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দেব। সব মিলিয়ে শেষ হতে ৬ মাস লাগবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন যে, কালুরঘাট সেতুর সবকিছু ফাইনাল হয়ে গেছে। এই সরকারের আমলেই চুক্তি অনুযায়ী কাজ শুরু হবে।’

স্থানীয়দের মধ্যে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম সেলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, পৌরসভার মেয়র মো. জহুরুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

তাদের দাবি, বোয়ালখালীর মানুষ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছেন নতুন সেতু নির্মাণের জন্য। নতুন সেতু নির্মাণ সময়সাপেক্ষ। তাই সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু জনগণ মনে করছেন, সেতুটি শুধু সংস্কার করা হবে। নতুন সেতু আর হবে না। সামনে নির্বাচন। জনগণকে কোনভাবেই বিশ্বাস করানো যাচ্ছে না। তাই আমাদের দাবি, নির্বাচনের আগে যেন নতুন সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়।

মতবিনিয়ময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, জেলা রেলওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুদীপ্ত সরকার প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর