চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিষিদ্ধ মাছ ধরার সরঞ্জাম ‘আর্টিসনাল’ ট্রলিং তৈরির অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল সোমবার গভীর রাতে উপজেলার শেখেরখীল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক, যিনি এ ট্রলিং তৈরির মূল কারিগর বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা পণ্ডিত বিশ্বাস (৩৮), বরগুনার অমল চন্দ্র (৪৫), মোংলার নাথন বিশ্বাস (৬০) এবং সাতক্ষীরার আকাশ বিশ্বাস (৩৮)।
কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, শেখেরখীল এলাকার একটি গুদামে অবৈধ ট্রলিং তৈরির গোপন কার্যক্রম চলছে—এমন খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চারজনকে আটক ছাড়াও গুদাম থেকে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের সাতটি অবৈধ জাল, ৩৪টি ইয়াবা, ১০ গ্রাম গাঁজা এবং ৭৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট রাফিদ-আস-সামি জানান, আটক ভারতীয় নাগরিক পণ্ডিত বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ট্রলিং তৈরি করে আসছিলেন এবং ভারত থেকে নিয়মিত বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় এসে এই কাজ করতেন। জব্দকৃত আলামতসহ আটক ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, কাঠের তৈরি ছোট ট্রলারকে অবৈধভাবে যান্ত্রিক ‘ট্রলিং ট্রলারে’ রূপান্তর করে তাতে ছোট ফাঁসের ‘বেহুন্দি জাল’ যুক্ত করা হয়, যা আর্টিসনাল ট্রলিং নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে গভীর ও অগভীর সাগরের রেণু, ডিমওয়ালা মা মাছ এবং মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য ধ্বংস হয়। এজন্য বাংলাদেশে এ ধরনের ট্রলিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।