বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

  • প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ   
  • ৫ মে, ২০২৩ ২০:৪১

শুক্রবার দুপুরে আমিনুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে বিকেলে গ্রেপ্তার হন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওরফে সজীব।

সংবাদ প্রকাশের জেরে যমুনা টেলিভিশনের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় যুবলীগ নেতা জিল্লুর রহমান ওরফে সজীব গ্রেপ্তার হয়েছেন।

শুক্রবার দুপুরে আমিনুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে বিকেলে গ্রেপ্তার হন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওরফে সজীব।

৩৫ বছর বয়সী সজীব ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়।

জিল্লুর রহমান সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

ভুক্তভোগীর ভাষ্য, সংবাদ সংগ্রহের সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে তিনি হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আমিনুল বলেন, ‘সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের কিছু ঘর নির্মাণকাজের অনিয়ম নিয়ে গত ২৮ এপ্রিল যমুনা টেলিভিশনে একটি সংবাদ প্রচার হয়। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যান প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সেখানে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপলসহ আরও কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তদন্তের প্রয়োজনে ঘটনাস্থলে আমাকেও সেখানে ডাকা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রচারিত সংবাদের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে খায়রুল হুদা চপলের কথা কাটাকাটি হয়। পরে খায়রুল হুদা চপল বিষয়টি মীমাংসা করে আমাকে নিজের গাড়িতে করে সেখান থেকে নিয়ে আসেন। পেছনে মোটরসাইকেলে করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীরাও আসেন।

‘শহরে সদর উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে আমি ওই গাড়ি থেকে নেমে অন্য একটি মোটরসাইকেলে ওঠার সময় জিল্লুর রহমান সজীবসহ আরও কয়েকজন আমার ওপর হামলা চালান। তারা আমাকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারেন। পরে আমি সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। ’

পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন আমিনুল।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রল হুদা চপল এ ঘটনার সঙ্গে যুবলীগের বা তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে এই ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা প্রয়োজনে কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করে থাকি। আমি তাকে (আমিনুল) বলেছিলাম, আরও যাচাই-বাছাই করে সংবাদ করলে ভালো হতো। এরপরই তিনি তর্ক জুড়ে দেন। বিষয়টি সেখানেই মীমাংসা করে আমি নিজে তাকে আমার গাড়িতে করে শহরে নিয়ে এসে নামিয়ে দিই। পরে কী হয়েছে, আমি জানি না।’

নিউজবাংলাকে মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।’

এ বিভাগের আরো খবর