বরিশালে শিশু হত্যায় জড়িত সন্দেহে মা ও সৎবাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে রোববার দুপুরে ৫ বছর বয়সী আবীর ইসলাম জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে বরিশাল রেছে পুলিশ।
জিহাদ নগরীর পলাশপুর এলাকার মো. আল আমিন হাওলাদারের ছেলে। আটক মা হলেন মরিয়ম বেগম ও সৎবাবা মিলন হাওলাদার। মিলন পেশায় একজন থ্রি হুইলার চালক ও নগরীর আদম আলী হাজী গলির বাসিন্দা শফিক হাওলাদারের ছেলে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, পলাশপুরের বাসিন্দা আল আমিনের সঙ্গে এক বছর আগে মরিয়মের ডিভোর্স হয়। জিহাদ মায়ের সঙ্গে থাকত। ২১ এপ্রিল মিলনের সঙ্গে মরিয়মের বিয়ে হয়। সন্তানকে নিয়ে মরিয়ম ও মিলন তিনদিন আগে নগরীর বান্দ রোডে আবাসিক হোটেল বায়জিদের একটি কক্ষে ওঠেন।
মরিয়মের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘সকালে জিহাদকে তার মা নিজের পাশে মাথা, হাত ও পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় পান। দ্রুত তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ নগরীর রুপাতলী ভাসানী সড়কে মরিয়মের ভাইয়ের বাসায় নেয়া হয়।
‘বেলা আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শিশুটির মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে মা ও সৎবাবাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।’
বরিশাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, ‘শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটা হত্যাকাণ্ড। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে।’