কুমিল্লা দাউদকান্দিতে গুলি করে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে হত্যার মিশনে অংশ নিয়েছে তিনজন। ওই তিন যুবক বোরকা পরে এসে কুশল বিনিময়ের চেষ্টা করছিল। এরই এক পর্যায়ে গুলি করা হয় তাকে।
রোববার রাতের ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ বলছে, রাত সাড়ে ৭টার দিকে বোরকা পরা তিনজন এসে জামালের সঙ্গে কুশল বিনিময় করার চেষ্টা করে। এ সময় একজন বোরকার নিচ থেকে পিস্তল বের করে।
পুলিশ জানায়, জামাল বুঝতে পেরে দৌড় দেয়ার সময় বাকি দুজন তাদের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে জামালকে তিনটি গুলি করে। একটি গুলি কপালে ও একটি তার বুকে বিদ্ধ হয়।
দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাহের সামনে রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে গুলিতে নিহত হন জামাল হোসেন। তিনি কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যু্গ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে খুনিদের খুঁজতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া।
তিনি বলেন, এ কারণে মামলা করা সম্ভব হয়নি। সন্ধ্যা নাগাদ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হতে পারে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক ইউনিট পরিদর্শন করেছে।