রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় তিতাসের গ্যাসের লাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজনসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে গেন্ডারিয়ার ধুপখোলা বাজারের এ ঘটনায় দগ্ধদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন মুদি ব্যবসায়ী ৫০ বছর বয়সী আব্দুর রহিম, তার মেয়ে ২১ বছরের মীম আক্তার, নাতি ২ বছরের আলিফ, পথচারী ৩৮ বছরের মো. সোহেল, ২২ বছরের মো. মেহেদী হাসান, ৫২ বছরের মোহাম্মদ আলী হোসেন, ৩১ বছরের মো. রাশেদ মিয়া, ৩২ বছরের মো. মিজানুর রহমান ও ৬৫ বছরের মোছা. সাহারা বেগম। দগ্ধ দুইজনের নাম জানা যায়নি।
দগ্ধদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা আব্দুর রহিমের ছেলে আল আমিন বলেন, আমারা ধূপখোলা মাছ বাজারের একটি বাড়িতে থাকি। বাড়ির পাশেই মুদি দোকান। ওই দোকানে আমার বাবা বসে ছিলেন। আর পাশেই ছিল আমার বোন ও বোনের ছেলে।
তিনি বলেন, দোকানের সামনের রাস্তায় তিতাসের গ্যাস লাইনের কাজ হচ্ছিল। সকালে হঠাৎ সেখান হালকা বিস্ফোরণ হয়। এতে আগুন ধরে যায় তাদের শরীরে। গত কয়েকদিন ধরেই তিতাসের লাইন মেরামতের কাজ চলছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, গেন্ডারিয়ায় দগ্ধ ৯ জন চিকিৎসাধীন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক বলেন, ধুপখোলা বাজারে দগ্ধ আব্দুর রহিমের শরীরের ৪০ শতাংশ, মিমের ২০ শতাংশ ও শিশুটি সামান্য দগ্ধ হয়েছে।
এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাসের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।