বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইলের বড় মনির ও তার স্ত্রীর জামিন স্থগিত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ ১৮:৪৬

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামিদের হাইকোর্ট চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছিল। সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করলে চেম্বার জজ আদালত সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে তাদের জামিন স্থগিত করে দিয়েছে। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে আদালত।

এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির ও তার স্ত্রী নিগার আফতাবকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

জামিন স্থগিতের পাশাপাশি দুই সপ্তাহের মধ্যে টাঙ্গাইলের আদালতে তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামিদের হাইকোর্ট চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছিল। সেই জামিন স্থগিত চেয়ে আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করলে চেম্বার জজ আদালত সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে তাদের জামিন স্থগিত করে দিয়েছে। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে আদালত।

গত ১৭ এপ্রিল তাদেরকে জামিন দিয়েছিল বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

মামলা থেকে জানা যায়, ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর থানায় শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে গত ৫ এপ্রিল রাতে মামলা হয়। মামলায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা বলে প্রমাণ পেয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। মামলা হওয়ার পরদিন ওই কিশোরী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সন্তান নষ্ট করার চাপে কিশোরী রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ তাকে শহরের আদালত পাড়ায় গোলাম কিবরিয়ার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি কক্ষে ওই কিশোরীকে গোলাম কিবরিয়া আবারও ধর্ষণ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর