বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানি লন্ডারিং মামলায় সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ ১৩:২৭

আয় বহির্ভূত সম্পদ আর্জনের অভিযোগে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত, জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ১ মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক বদরুল আলম ভূঞা এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে তাকে পৃথক দুই ধারায় ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাকে ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

মানিলন্ডারিং আইনে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে।

এছাড়া আয় বহির্ভূত সম্পদ আর্জনের অভিযোগে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত, জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ১ মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

৫৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে সেলিমকে আসামি করে মামলাটি করেন।

মামলায় তার বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়।

২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

এর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর মাধ্যমে সেলিম ৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার টাকার। অর্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা পাচার করেছেন থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে।

সেলিম জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং পেপার্সের চেয়ারম্যান। এই কোম্পানিতে তার ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ৬৯ হাজার শেয়ারের বিপরীতে এখানে বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে ৬৯ লাখ টাকা।

তবে সেলিমের নামে শেয়ার মানি ডিপোজিট পাওয়া গেছে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৫০ টাকা। এ টাকা তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ। প্রিন্টিং পেপার্স কোম্পানি ২০১০ সালে মুনাফা করে ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৩ টাকা।

প্রতিষ্ঠানটি ২০১১ সালে মুনাফা করে ১ কোটি ৪৬ লাখ ২১ হাজার ৭২ টাকা। এখান থেকে ২০১১-১২ অর্থবছরে ৮ কোটি টাকা ঋণ নেন বলে সেলিম তার ব্যক্তিগত আয়কর নথিতে উল্লেখ করেছেন।

তবে এই কোম্পানি থেকে কীভাবে ঋণ নিয়েছেন তিনি এ-সংক্রান্ত কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি।

এ বিভাগের আরো খবর