বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির কাছে আস্থার পরীক্ষা দিতে চায় নির্বাচন কমিশন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ১৭:৪১

বিএনপিকে উদ্দেশ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘সব সময় আমাদের আহ্বান থাকবে- আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, আমাদের পরীক্ষা নিন। আমরা পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত সব সময়। আপনারা তো আমাদের পরীক্ষাই নিচ্ছেন না। পরীক্ষা না নিয়েই আপনারা কীভাবে বুঝলেন যে আমরা অকৃতকার্য হলাম?’

বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপিকে আসন্ন ৫ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বর্তমান কমিশনের পরীক্ষা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমান কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন সব সময় পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন এক কমিশনার।

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর তার বক্তব্যে বিএনপির কাছে পরীক্ষা দেয়ার ইঙ্গিত দেন। তবে নির্বাচন কমিশনের ওপর অনাস্থা নয়, বরং রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দলটি ভোটে অংশ নিচ্ছে না বলে মত এই কমিশনারের।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় অবস্থানে বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আছে এক বছরের কম সময়। এ সময়ে স্থানীয় সরকারের পাঁচ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে বর্তমান কমিশন।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার দায়িত্বভার গ্রহণ করে হাবিবুল আউয়াল কমিশন। তবে এই কমিশনের অধীনে বিএনপি কোনো ভোটে অংশ নেয়নি।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে ইসি আলমগীর বলেন, ‘সব সময় আমাদের আহ্বান থাকবে- আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, আমাদের পরীক্ষা নিন। আমরা পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত সব সময়। আপনারা তো আমাদের পরীক্ষাই নিচ্ছেন না। পরীক্ষা না নিয়েই আপনারা কীভাবে বুঝলেন যে আমরা অকৃতকার্য হলাম?’

বর্তমান কমিশন এ পর্যন্ত ভালো কাজ করে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই কমিশনার। একইসঙ্গে আগামীতেও ভাল কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

পাঁচ সিটির ভোটে বেশির ভাগ দল অংশ নিচ্ছে না। এটা আস্থাহীনতা কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘৩৯টি দলের স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে...। তাদের তো স্থানীয় পর্যায়ে অফিস থাকতে হবে। সব জেলায় সব দলের তো অফিস না-ও থাকতে পারে।’

বিএনপির কি অফিস নেই- এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে তারা বলেছে যে নির্বাচনে অংশ নেবে না। আমাদের বলেনি যে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা থাকায় তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।

‘ছোট ছোট দলের ওইরকম অফিস নেই। তাদের যোগ্য প্রার্থী না-ও থাকতে পারে। সেটা তাদের ব্যাপার। বড় দলগুলো তো আসছে। বিএনপি আসেনি এটা তো তাদের রাজনৈতিক কৌশল। এটা আমাদের ব্যর্থতা না। তারা কি বলেছে যে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ নির্বাচন করেছে, এজন্য আসবো না?’

সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অনেকে আচরণ বিধি মানছেন না, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দোয়া চাচ্ছেন। এ বিষয়ে কমিশনের বার্তাটা কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা দোয়া চেয়েছেন তারা অনেকেই প্রার্থী না। কিসের দোয়া চেয়েছেন সেটা তো লেখা নেই। নমিনেশন নেয়া ও তা জমা দেয়ার পর বিষয়টি বোঝা যাবে।

‘রিটার্নিং অফিসার যিনি আছেন তার লোকবল অল্প। তিনি অনেক প্রচারসামগ্রী উঠিয়ে নিয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দ যেদিন হয়, সেদিন থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়। সেদিন থেকে অফিসিয়ালি আচরণ বিধি না মানলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শো-ডাউন করা যাবে না জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘আইনে আছে যে শো-ডাউন করা যাবে না। কিন্তু আমাদের কালচারটা হলো শো-ডাউনের। একটা কালচার তো একদিনে পরিবর্তন হয় না। সেজন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলা আছে, অন্তত যখন কেউ নমিনেশন পেপার জমা দিতে আসবেন, তখন যেন শো-ডাউন না করেন।’

এ বিভাগের আরো খবর