জামালপুর সদর, মাদারগঞ্জ ও ইসলামপুরে তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও সমসংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন।
সদর
জামালপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উপজেলার নারিকেলী এলাকায় রোববার সকালে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক অনিক (১৯) নিহত হন। তার সঙ্গে থাকা মুশফিক নামে আরেক যুবক গুরুতর আহত হন, যাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রাণ হারানো অনিক ঢাকার সাভারের বিরুলিয়া গ্রামের রওশন আলীর ছেলে।
জামালপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুর মোহাম্মদ নিউজবাংলাকে জানান, ঈদে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বন্ধু মুশফিকের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন অনিক। ঈদ উদযাপন শেষে দেওয়ানগঞ্জ থেকে সড়কপথে বাইকে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন এ যুবক। পথে নারিকেলী এলাকায় পেছন থেকে পিকআপ ভ্যান তাদের বহনকারী বাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে অনিক ও মুশফিক গুরুতর আহত হন। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অনিককে মৃত বলে জানান।
মাদারগঞ্জ
উপজেলা সদরের হাওয়াই রোডে রোববার দুপুর ১২টার দিকে সড়ক পারাপারের সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আঙ্গুরি বেগম (৮৫) নামের এক নারী নিহত হন।
আঙ্গুরীর বাড়ি মাদারগঞ্জ পৌর এলাকার বানীকুঞ্জ বেপাড়িপাড়ায়। তার স্বামী প্রয়াত ছাইর উদ্দিন প্রামানিক।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক নিউজবাংলাকে জানান, বাড়ির পাশে হাওয়াই রোডে সড়ক পারাপারের সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আঙ্গুরী বেগম গুরুতর আহত হন। স্বজনরা উদ্ধার করে প্রথমে মাদারগঞ্জ হাসপাতালে নেয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, মোটরসাইকেল জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে যান। এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না করায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।
ইসলামপুর
গুঠাইল-দেওয়ানগঞ্জ সড়কে উপজেলার হলহলি ব্রিজে রোববার দুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আসিফ নামে কলেজছাত্র নিহত হন। ওই মোটরসাইকেলের দুই আরোহী গুরুতর আহত হন।
আসিফ ইসলামপুরের ঘোনাপাড়া এলাকার আবদুল বারেকের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ইসলামপুর থানার ওসি মাজেদুর রহমান নিউজবাংলাকে দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।