মহাখালী বাস টার্মিনালে কিশোরগঞ্জগামী অনন্যা পরিবহনের হেলপার ও কনডাক্টর যাত্রী ডাকছেন জোরেশোরে। এর মধ্যেই পরিবহনটির কাউন্টারে গিয়ে জানতে চাওয়া হয় যাত্রী কমার কারণ।
পরিবহনটির টিকিট বিক্রেতা মো. আমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভাই, গত বছর চাপ সামলাতে পারি নাই। আর এই বছরে তো দেখতেই পারতেছেন, যাত্রী ডেকেও পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর কেন মানুষ নাই, বুঝতে পারতেছি না। গরমের কারণ নাকি ছুটি বেশি দিনের কারণে বুঝতে পারতেছি না, তবে এটা সত্য, যাত্রী অনেক কম।’
ময়মনসিংহ রুটের এনা পরিবহনের যাত্রী ভালোই ছিল মহাখালীতে। দুপুর দেড়টার দিকে ৫০ জনের বেশি যাত্রীকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে দেখা যায়, তবে কারও মনে নেই হতাশা।
কয়েকজন যাত্রী জানান, ২০ মিনিট লাইনে দাঁড়ালেই টিকিট মিলছে।
ময়মনসিংহে যাওয়ার জন্য এনা পরিবহনের টিকিট কেটেছেন মো. আশিক। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘২০ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়েছি। এই সময়ে এসে এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। ভাড়াও বেশি নিচ্ছে না। গাড়িও এভেইলেবেল।’
এনা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা মো. শহীদ বলেন, ‘ভোরের দিকে একটু চাপ ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমাদের গাড়ি আছে পর্যাপ্ত। অন্য বছর এই সময়ে যাত্রীর অনেক চাপ থাকে। এ বছর সেই তুলনায় কোনো চাপই নাই।’
রাজশাহীর যাত্রী মো. দেলোয়ার বলেন, ‘অগ্রিম টিকিট কাটছিলাম। প্রতি বছরই অগ্রিম টিকিট কাটি। তাই ঝামেলা নাই। বাড়তি ভাড়াও নিচ্ছে না।’
রাজশাহী রুটের একতা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা মো. পারভেজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। নতুন যাত্রীও তেমন নাই। আর আমাদের রুটের বেশির ভাগ যাত্রী ট্রেনে চলে যায়।
‘আজকে সকাল থেকে মহাখালী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের তেমন নাই। যা আছে তার বেশির ভাগই অগ্রিম টিকিটের যাত্রী।’
উত্তরবঙ্গের অরিন পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা মো. সোহেল বলেন, ‘১৮, ১৯, ২০ ও ২১ তারিখের টিকিট আমরা অগ্রিম বিক্রি করেছি। তারপরেও দুই/একজন যাত্রী আসলে তারা সুপারভাইজারের সিটে শেয়ার করে চলে যাচ্ছে। ওই রকম চাপ নাই।’
এস আর ট্রাভেলসের টিকিট বিক্রেতা আবদুল খালেক বলেন, ‘আজকে সকাল থেকে যাত্রীর চাপ নেই। গতকালকের মতোই অবস্থা।
‘আমাদের এখানে বেশির ভাগই অগ্রিম টিকিটের যাত্রী। তাই ওভাবে চাপ নাই। যাত্রীরা আসতেছেন, সময়মতো গাড়িতে চলে যাচ্ছেন।’