বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাউকে নির্বাচনে আনা সরকারের দায়িত্ব নয়: তথ্যমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:৫৯

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজক কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে সরকারি দল একটি পক্ষ। বিরোধী দলও একটি পক্ষ। কাউকে নির্বাচনে আনা না আনা এবং নির্বাচনে কেউ আসবে কি আসবে না সেই দায়িত্ব পালন করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এটা সরকার বা সরকারি দলের দায়িত্ব নয়।’

কাউকে দাওয়াত করে হাত-পায়ে ধরে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব সরকারের নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৪৭ বিধিতে পেশ করা প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান বলেন, নির্বাচন আয়োজক কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে সরকারি দল একটি পক্ষ। বিরোধী দলও একটি পক্ষ। কাউকে নির্বাচনে আনা না আনা এবং নির্বাচনে কেউ আসবে কি আসবে না সেই দায়িত্ব পালন করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এটা সরকার বা সরকারি দলের দায়িত্ব নয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার হুমকি দেয়া হচ্ছে।

‘গণতন্ত্র ও সংসদের পথচলা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এবং সংসদীয় গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য কেউ নির্বাচনে আসুক বা না আসুক নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হতে হবে। যখন নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হয় তখন সরকারের হাতে কোনো ক্ষমতা থাকে না। নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন আয়োজন করবে।

‘সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে। কাউকে দাওয়াত করে হাত-পায়ে ধরে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব সরকার বা সরকারি দলের নয়।’

ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রকে প্রতিহত ও সংসদকে অবজ্ঞা করা এবং সংসদীয় গণতন্ত্র যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি আজ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। তারা ২০১৪ সালের নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য ৫০০ ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। কয়েক ডজন মানুষকে হত্যা করেছিল।

‘তবে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সংসদের পথচলা অব্যাহত থেকেছে। গণতন্ত্রের পথচলা অব্যাহত থেকেছে। আবারও সেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সংসদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই সংসদের পথচলা এবং সংসদীয় গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য কয়েকদিন আগে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। তারা দেশের গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই পদত্যাগ করেছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর