বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবাজারে আগুন, সার্ভার জটিলতায় জিডি নিতে দেরি

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ১৬:৩৪

জিডিতে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক হিসাব তুলে ধরছেন তারা। ব্যবসায়ী নেতারা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছেন । প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য এই তালিকা দেয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে।

বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করছেন। শনিবার সকালে অগ্নিকাণ্ডকবলিত বঙ্গবাজারের পাশে অস্থায়ী বুথ খোলে পুলিশ। সেখানে ব্যবসায়ীদের জিডি নেয়া শুরু হয়। তবে অনলাইন সার্ভার জটিলতার কারণে জিডি করার প্রক্রিয়ায় দেরী হচ্ছে।

জিডিতে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক হিসাব তুলে ধরছেন তারা। ব্যবসায়ী নেতারা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করছেন । প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য এই তালিকা দেয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডস্থলেই শনিবার থেকে ব্যবসায়ীদের বসার কথা থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত একটি দোকানের মালিক হাবিব বলেন, ‘আজকে আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীরা অস্থায়ীভাবে বসার কথা ছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপের আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়নি বলে বসা যায়নি।’

তিনি জানান, সকাল ৭টায় এই বুথে জিডি করতে এসে দুপুর আড়াইটা পর্যন্তও করতে পারননি। তবে তিনি অপেক্ষায় রয়েছেন জিডি করতে। তার দাবি, আগুনে তার প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বুথে কর্তব্যরত শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন বলেন, ‘সার্ভার স্লো, সে কারণে জিডি নিতে দেরী হচ্ছে।’

সকাল থেকে কতটি জিডি হয়েছে, সে বিষয়ে জানাতে না পারলেও থানা থেকে সঠিক সংখ্যা জানা যাবে বলে জানান সুমন।

সকালে বঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘(আজ) বসার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। এখন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবাসায়ীদের তালিকা করা হচ্ছে। তা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে জমা দেয়া হবে।’

গত ৪ এপ্রিল ভোরে ঢাকার অন্যতম বড় পোশাক মার্কেট বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একে একে অর্ধশত ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তাদের সঙ্গে পুলিশ, র‌্যাব, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৫ হাজারের বেশি দোকান। ব্যবসায়ীদের দাবি, এই অগ্নিকাণ্ডে তাদের ২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর