বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৬ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:২৮

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অঞ্চলের ৯০ শতাংশ মানুষই ছিল ক্ষুধার্ত, বঞ্চিত, নির্যাতিত। এক বেলা খাবার জোটাতেই তাদের কষ্ট হতো। সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তাদের মৌলিক চাহিদার প্রতিটি বিষয় সংবিধানে উল্লেখ করা রয়েছে। বাংলাদেশটা কীভাবে চলবে সেই দিকনির্দেশনা বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে দিয়ে গেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের যে সংবিধান দিয়ে গেছেন তা বোধ হয় সারা পৃথিবীতে একটি সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে। আমাদের সব ধরনের মানুষ, অনগ্রসর শ্রেণি সবার কথা সংবিধানে বলা আছে। সে অনুযায়ী বর্তমান সরকার সবার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনের আগে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার প্রধান বলেন, ‘এই অঞ্চলের ৯০ শতাংশ মানুষই ছিল ক্ষুধার্ত, বঞ্চিত, নির্যাতিত। এক বেলা খাবার জোটাতেই তাদের কষ্ট হতো। সেই মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তাদের মৌলিক চাহিদার প্রতিটি বিষয় সংবিধানে উল্লেখ করা রয়েছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্মের জন্য অমূল্য সম্পদ বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সেই সংসদ অধিবেশনে (স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে) তিনি যে ভাষণগুলো দিয়েছেন, পরবর্তীতে তার সব ভাষণকে একটা জায়গায় নিয়ে আসা, যেটা আমি মনে করি আমরা যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসি, তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

‘৫০ বছরে আমাদের যে প্রজন্ম বা তার পরবর্তী প্রজন্ম, প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ভাষণগুলো জানা, বাংলাদেশটাকে বোঝা, মানুষের অবস্থাটা জানা, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি- সবকিছু জানার একটা সুযোগ পাবে। বাংলাদেশটা কীভাবে চলবে সেই দিকনির্দেশনা বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে দিয়ে গেছেন। কাজেই এটা আমাদের জন্য একটা অমূল্য সম্পদ।’

বৈঠকে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা মনে হয় পৃথিবীর মধ্যে বিরল একটি ঘটনা যে মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র ৯ মাসের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়ন করে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাংলাদেশের মানুষকে বোঝা ও জানা, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি- সবকিছু জানার সুযোগ পাবে এই বইয়ের মাধ্যমে।’

বিশেষ এই অধিবেশন ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল যাত্রা শুরু করেছিল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ। কালের পরিক্রমায় এই সংসদ পেরিয়েছে প্রতিষ্ঠার পাঁচ দশক।

৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হয় বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সেশনে যোগ দেন সংসদ সদস্যরা।

প্রথম দিনে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। বিদেহীদের আত্মার শান্তি কামনায় করা হয় মোনাজাত। কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন এবং আইন প্রণয়নের মতো স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর পর অধিবেশন মুলতবি করেন স্পিকার।

অধিবেশনের আগে একাদশ জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির ১২তম বৈঠক হয়। এ সময় সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত বিশেষ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতাসহ কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়, ৬ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে বিশেষ এই অধিবেশন চলবে।

বিশেষ এই অধিবেশনে শুক্রবার বিকেলে স্মারক বক্তব্য দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পরদিন শনিবার সংসদ নেতা সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করলে তার ওপর আলোচনা করবেন আইনপ্রণেতারা।

এ বিভাগের আরো খবর