মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত ‘মাহে রমজানের শিক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের যে ইসলামী দলগুলো আমাদের সঙ্গে ছিল, তাদেরকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। তাতে করে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা ও আগামী নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচিত করার পথ আরও সুগম হবে।’
আগামী নির্বাচন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোর মতো নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু বিএনপিসহ অন্য বেশকিছু দল ইভিএমে আপত্তি জানিয়েছিল। দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন সব আসনে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি অনেকটা বিরোধী দলের দাবি মেনে নেয়ার মতোই।’
বিএনপিকে নির্বাচন-ভীতি পেয়ে বসেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে চায়। তবে নির্বাচন কমিশন যেহেতু তাদের দাবি অনুযায়ী ব্যালটে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই আশা করি তারা ভীতি কাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে।’
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব শায়খুল হাদীস মনিরুজামান রাব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ওর্য়াকার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ইসলামি ফ্রন্টের চেয়ারম্যান সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, ওলামা মাশায়েখ পরিষদের উপদেষ্টা আল্লামা রুহুল আমিন খান উজানভি, চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সাইফী, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক এলায়েন্সের সভাপতি নুরুল ইসলাম খান, তৃণমূল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আক্কাস আলী খান, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা হারিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সাংগঠনিক সচিব আবুল কালাম আজাদ, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল উপস্থিত ছিলেন।