বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ এপ্রিল, ২০২৩ ১৮:৪১

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘অগ্নি-নির্বাপণ, উদ্ধার কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে সমন্বয় করেছেন। সারাক্ষণ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে কাজ করা হবে।’

বঙ্গবাজার ও আশপাশের ৫টি মার্কেটে মঙ্গলবার সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ৫ হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বৈঠক করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এনামুর রহমান বলেন, ‘অগ্নি-নির্বাপণ, উদ্ধার কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে সমন্বয় করেছেন। সারাক্ষণ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনে কাজ করা হবে।

‘জেলা প্রশাসনকে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দিয়েছি, হতাহতদের এখনই যেন ১৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ডকে এখন পর্যন্ত আমরা দুর্ঘটনা হিসেবেই বর্ণনা করব। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগ পর্যন্ত এ ঘটনা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মতামত দেয়া ঠিক হবে না। তদন্তের পর আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদবাজার উপলক্ষে এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকানে অনেক মালামাল তুলেছিলেন। সেসবই আগুনে পুড়ে গেছে। অবশ্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় অনেক ব্যবসায়ী কিছু মালামাল উদ্ধার করে সরিয়ে নিতে পেরেছেন।’

তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করছে। যেকোনো দুর্ঘটনার পরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তের পর আমরা আসল কারণটা জানতে পারব।

ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, ‘বঙ্গবাজার মার্কেটটি ২০১৯ সালে করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু সে সময় মার্কেট সমিতি নতুন ভবন নির্মাণের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্ট রিট আবেদন করে। হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়ার পর ওই উদ্যোগ থেমে যায়।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবাজারকে আমরা ১০ বার নোটিশ দিয়েছি। সেখানে আমরা কার্যক্রমও হাতে নিয়েছি নতুন করে ভবন নির্মাণের। সেখানে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। সুতরাং আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু করার আমরা করেছি। কিন্তু যারা ব্যবহার করছেন তাদেরকে তো সেই ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।’

ফজলে নুর তাপস বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো যেসব ভবন সিটি করপোরেশন বা অন্য সংস্থা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে সেগুলো এখন যেন এখন থেকেই আর ব্যবহার করা না হয়। কারণ কোথায় কখন দুর্ঘটনা ঘটবে তা আমরা কেউই বলতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ফায়ার সার্ভিসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ তারা নিরলস পরিশ্রম করে ৬ ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে।’

৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি

বঙ্গবাজারে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডেরর কারণ অনুসন্ধান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গঠন করা কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত কমিটিতে রয়েছেন দক্ষিণ সিটির অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসন ৫-এর কাউন্সিলর (ওয়ার্ড নম্বর- ১৩, ১৯ ও ২০), দক্ষিণ সিটির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, সম্পত্তি কর্মকর্তা, ঢাকা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, দক্ষিণ সিটির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর), পরিবেশ, জলবাযু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেল এবং দক্ষিণ সিটির প্রধান সমাজকল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর