রাজধানীর বঙ্গবাজারে মঙ্গলবার সকালে আগুন লাগার খবরে ছুটে এসেও নিজ দোকানের মালামাল রক্ষা করতে পারেননি ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবাজারে আমার ৮টা দোকান। একটা দোকানের মাল কোনোমতে বের করতে পারছি। বাকিগুলো থেকে একটা কাপড়ও বের করতে পারিনি। চোখের সামনে কোটি কোটি টাকার মাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
দুপুরে বঙ্গবাজার সংলগ্ন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনে এমন অভিজ্ঞতার কথা জানান আরিফ।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবাজারের আশপাশের চারটা মার্কেটে ৮টা দোকান ও গোডাউন ছিল। মহানগর মার্কেটে ৩টা, মহানগর কমপ্লেক্সে ২টা, অ্যানেক্স টাওয়ারে ২টা ও গুলিস্তানে একটা। শুধু একটা দোকানের কাপড় বের করতে পারছি। আর সব পুড়ে গেছে।’
আরিফ হোসেন প্যান্টের ব্যবসা করতেন। তার দোকানগুলো থেকে পাইকারি দরে কাপড় বিক্রি হতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীদের কাছে।
তিন কোটি টাকার বেশি মূল্যের কাপড় পুড়ে গেছে বলে দাবি করেন এ ব্যবসায়ী।
মহানগর ও অ্যানেক্স টাওয়ারে দোকান ছিল আজহারের। তার ভাষ্য, ‘আমি এসে দেখি চারদিকে আগুন আর ধোঁয়া। মহানগর মার্কেটের দোকান, অ্যানেক্স টাওয়ারের দোকানের সব মাল পুড়ে গেছে। এক কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হইছে আমার।’
সংখ্যায় বঙ্গবাজারের আগুন
আগুন ধরার সময়: ফায়ার সার্ভিস খবর পায় সকাল ৬টা ১০ মিনিটে
প্রথম ইউনিট পৌঁছার সময়: সকাল ৬টা ১২ মিনিট
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করা ইউনিটের সংখ্যা: ৪৮
আগুন নিয়ন্ত্রণের সময়: দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিট
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের সংখ্যা: বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির দাবি অনুযায়ী, প্রায় ৫ হাজার
আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতি: বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির দাবি অনুযায়ী, আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে ৭০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ চেয়েছে সমিতি।
আগুনে আহত ফায়ার সার্ভিস সদস্য: আটজন, যাদের মধ্যে দুজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন
আগুন নেভাতে দেরি হওয়ার কারণ: ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্য অনুযায়ী, তিনটি। এগুলো হলো পানির অভাব, বাতাস ও উৎসুক জনতা।