বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উদ্ধার করেও ছাই হলো আড়াই কোটি টাকার পোশাক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ৪ এপ্রিল, ২০২৩ ১৪:২৬

আগুন লাগার পরপরই নিজেদের তিনটি দোকানের প্রায় আড়াই কোটি টাকার মালামাল অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে মার্কেটের বাইরে এনে রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু বিধি বাম। মার্কেটের গেটের বাইরে জড়ো করা সেসব মালামালের ওপরই আবার আগুন লাগা শেড ভেঙে পড়ে। নিমেষেই পুড়ে ছাই হয়ে পুরোটা।

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে নিঃস্ব হয়েছেন হাজারো ব্যবসায়ী। আগুন লাগার পর থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে নিজের শেষটুকু রক্ষার চেষ্টা করতে থাকেন তারা। অনেকে কিছু মালামাল আগুনের আঁচ থেকে রক্ষা করতে পারলেও কেউ কেউ আছেন যারা উদ্ধার করা মালও আবার হারিয়েছেন চোখের সামনেই। তাদেরই একজন মোহাম্মদ আকাশ হোসেন।

মঙ্গলবার সকাল ৬টার কিছু সময় পর আগুন লাগার পরপরই নিজেদের তিনটি দোকানের প্রায় আড়াই কোটি টাকার মালামাল অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে মার্কেটের বাইরে এনে রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্তু বিধি বাম। মার্কেটের গেটের বাইরে জড়ো করা সেসব মালামালের ওপরই আবার আগুন লাগা শেড ভেঙে পড়ে। চোখের সামনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় পুরোটা।

আকাশের বড় ভাইয়ের সেভেন স্টার নামের তিনটি তৈরি পোশাকের দোকান ছিল বঙ্গবাজারে। ১৭ বছর ধরে পাইকারি দরে পোশাক বিক্রি করে তিলে তিল বড় করেছেন ব্যবসার পরিধি। সকালে এই আকষ্মিক আগুনের খবর পেয়ে দোকানে চলে আসেন আকাশ ও তার ভাইয়ের দোকানের কর্মচারীরা।

তখনও সেভেন স্টার দোকান তিনটিতে আগুনের আঁচ স্পর্শ করেনি। জীবন বাজি রেখে সবাই মিলে দোকান তিনটিতে থাকা আড়াই কোটি টাকার মালামাল উদ্ধার করে সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ জানিয়েছিলেন তারা। তার মাঝেই আবারও দুর্ঘটনা সব ফিরিয়ে দিয়েও নিঃস্ব করলো আকাশের পরিবারকে।

নিরুপায় দাঁড়িয়ে সব বিলীন হতে দেখা শেষ করে চোখ মুছতে মুছতে আকাশ বাসার দিকে পা বাড়িয়েছেন যখন, তখন কথা হয় প্রতিবেদকের সঙ্গে।তিনি বলেন, ‘সকাল সোয়া ৬টার দিকে আগুনের খবর শুনি। আমরা পাশেই থাকি। শোনার সঙ্গে সঙ্গে সবাই দৌড়াইয়া আইসা দেখি মার্কেটে আগুন জ্বলে। আমাগো তিন দোকানের মাল সব শ্যাষ হইয়া যাইবো, এইডা ভাইব্বা সবাই মার্কেটে ঢুইক্কা যাই।

‘তখন আর জীবনের ডর আছিলো না। ঢুইক্কা দেখি আমাগো তিনটা দোকানের তখনও কিছু হয় নাই। পাগলের মতো সব মাথায় লইয়া, টাইন্না বাইর কইরা মার্কেটের গেইটের বাইরে ফালাইছি। সব মাল বাইর করার পর একটু দম নিলাম আর আল্লার কাছে শুকরিয়া জানাইলাম।’

আকাশ বলতে থাকেন, ‘এর মধ্যেই মার্কেটের আগুন লাগা শেড আমাগো মালের ওপর আইসা পড়লো। মুহূর্তে আবারাও সব পুইড়া ছাই। আমার ভাইয়ের জীবনের সব কষ্টের কামাই শ্যাষ হইয়া গেল। আমার ভাইয়ের সব বাঁচাইয়াও আবার রক্ষা করতে পারলাম না। যাগো সব পুঁড়ছে তাগোতো সবই গেছে। কিন্তু আমরাতো সবই বাঁচাইয়া কিছুই রাখতে পারলামনা, আল্লাহ এই গজব ক্যান দিলো?’

এ বিভাগের আরো খবর