ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়েছে।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সোমবার সকালে এই আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার।
আইনজীবী প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, দুপুরে শাসমের জামিন আবেদেনর ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ২৯ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয় প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা ও রমনা থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে শামসুজ্জামানের নামে। রমনা থানার মামলায় তাকে ছাড়াও আসামি করা হয়েছে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে। প্রথম আলো সম্পাদক এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনে আছেন।
স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একজন শ্রমিকের ক্ষোভের বার্তা ছিল।
ওই প্রতিবেদনটিতে স্মৃতিসৌধে ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজ মিয়ার বক্তব্য ছিল। একই প্রতিবেদনে জাকির হোসেন নামে দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’
প্রতিবেদনটির ভিত্তিতে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে ফটো কার্ড ছাপা হয়েছিল। এতে উদ্ধৃতিটি ছিল দিনমজুর জাকিরের আর ছবি ছিল ফুল বিক্রেতা সবুজের। ওই পোস্টে ছবি, উদ্ধৃতির এ গরমিলের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে সংশোধনী দেয় সংবাদমাধ্যমটি।
এ নিয়ে বেসরকারি একাত্তর টিভিতে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছরের শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক ছবি তুলেছেন বলে দাবি ওই শিশু ও তার পরিবারের।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এ ধরনের সংবাদের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো।