সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ভবনে ফাটলের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর চৌধুরীকে।
রোববার সিসিক-এর জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে শনিবার সিসিকের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটিতে আলী আকবর চৌধুরীকে সমন্বয়ক করা হয়েছিল।
কদমতলীতে নতুন বাস টার্মিনাল নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢালী কনস্ট্রাকশন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হেলাল উদ্দিনের আপন ভাই সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর চৌধুরী। ফলে ভাইয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের তদন্ত কমিটিতে আরেক ভাইকে সমন্বয়ক করায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সমালোচনার মুখে একদিন পরই আলী আকবরকে কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়।
রোববার সন্ধ্যায় সিসিকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাস টার্মিনালের নির্মাণ ত্রুটি তদন্তে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশন ও পুর প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলমকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যের টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- এলজিইডি সিলেট বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ূন কবীর।
কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
আলী আকবর চৌধুরীকে কমিটি থেকে বাদ দেয়া প্রসঙ্গে সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ বলেন, ‘তাকে কেন কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই। সিটি করপোরেশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।’
তবে তদন্ত কমিটিতে কখনোই ছিলেন না বলে দাবি করেছেন আলী আকবর চৌধুরী। তিনি বলেন, এ নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘কদমতলী বাস টার্মিনাল নির্মাণে ত্রুটি অনুসন্ধানে কমিটিতে সিসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে রাখা অনুচিত হয়েছে। তাছাড়া তিনি ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজনের ভাই। তাকে কমিটি থেকে বাদ দেয়ায় এবার আমরা সুষ্ঠু তদন্ত আশা করতে পারি।’
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্মাণ সংস্থা এখনও সিসিকের কাছে প্রকল্পটি হস্তান্তর করেনি। উদ্বোধনের জন্য অপেক্ষমাণ বাস টার্মিনালটিতে সুযোগ-সুবিধাগুলো ঠিক আছে কি না তা পর্যবেক্ষণের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সেবা দেয়া শুরু হয়। ইতোমধ্যে স্থাপনাটির একটি অংশে কিছু ত্রুটি দেখা যায়।’