শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সূবর্ণ (অটিস্টিক) শিশুদের বয়স শিথিল করার বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটউটে রোববার ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সূবর্ণ (অটিস্টিক) শিশুদের এক সময় অভিশাপ ও বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু এই শিশুদের বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। আমাদের উচিত তাদের এই দক্ষতা বের করে আনা। এই শিশুরাও আমাদের সমাজে অবদান রাখতে পারে।
‘বিশেষ শিশুদের পাবলিক পরীক্ষার খাতা ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রেও তাদের বয়স শিথিল করার বিষয়টি চিন্তা করা হবে।’
অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে দীপু মনি বলেন, ‘অটিজম বিষয়ে আগে সারা বিশ্বেই তেমন সচেতনতা ছিল না। আত্মীয়দের কাছেও বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করা হতো। এই বাচ্চাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের সুযোগ দেয়া হতো না। তবে এ বিষয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের সচিব সোলেমান খান ও সুচনা ফাউন্ডেশনের সিইও ডা. সাকী খন্দকার।
বক্তব্য দেন ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅ্যাবিলিটিস (নান্ড) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর দিদারুল আলম।