বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পেলেন মতিউর রহমান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২ এপ্রিল, ২০২৩ ১৫:২৬

স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাভারে কর্মরত প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের নামে ২৯ মার্চ মধ্যরাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন আবদুল মালেক নামের আইনজীবী।

রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।

রোববার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হাজির হয়ে আগাম জামিন চাইলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।

আদালতের মতিউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, তার সঙ্গে ছিলেন জেড আইন খান পান্না, ইমতিয়াজ মাহমুদ, সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান, প্রশান্ত কুমার কর্মকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী ও সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

আদেশের পরে আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার সাংবাদিকদের বলেন, আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিননামা দাখিল করতে বলেছে আদালত।

স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাভারে কর্মরত প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের নামে ২৯ মার্চ মধ্যরাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন আবদুল মালেক নামের আইনজীবী।

রমনা থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক, প্রতিবেদক ছাড়াও সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

এর আগে একই ঘটনায় তেজগাঁও থানার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা প্রতিবেদক শামসকে। তিনি এখন কারাগারে আছেন।

স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একজন শ্রমিকের ক্ষোভের বার্তা ছিল।

ওই প্রতিবেদনটিতে স্মৃতিসৌধে ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজ মিয়ার বক্তব্য ছিল। একই প্রতিবেদনে জাকির হোসেন নামে দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’

প্রতিবেদনটির ভিত্তিতে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে ফটো কার্ড ছাপা হয়েছিল। এতে উদ্ধৃতিটি ছিল দিনমজুর জাকিরের আর ছবি ছিল ফুল বিক্রেতা সবুজের। ওই পোস্টে ছবি, উদ্ধৃতির এ গরমিলের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে সংশোধনী দেয় সংবাদমাধ্যমটি।

এ নিয়ে বেসরকারি একাত্তর টিভিতে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছরের শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক ছবি তুলেছেন বলে দাবি ওই শিশু ও তার পরিবারের।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এ ধরনের সংবাদের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো।

এ বিভাগের আরো খবর