বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জালিয়াতির অভিযোগ শিক্ষার্থীদের, যা বললেন অভিনেতা মনোজ

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২৩ ১৩:৩৫

আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই হয়নি। এটা একটা ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে। যার কোনো লিখিত ডকুমেন্টস নেই। কারও ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত লাগলে মনগড়া একটা কথা তিনি ফেসবুকে লিখলে তো অভিযোগ হলো না।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ফিল্ম এ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী শিক্ষক মনোজ কুমার প্রামাণিকের বিরুদ্ধে নম্বর জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছে।

ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ (এম.এ) শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় অভ্যন্তরীণ পরীক্ষক মনোজ কুমার প্রামাণিক শিক্ষার্থীদের নির্মিত আংশিক কাজ দেখে মূল্যায়ন করে তার প্রদেয় নাম্বার জমা দিয়ে ঢাকা চলে যান। ১৬ মার্চ পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করেও সেই তারিখ দেখিয়ে স্বাক্ষর করার অভিযোগ উঠেছে মনোজ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে অনার্স ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এবং মাস্টার্স ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৬ তারিখ তিনি ছিলেনই না। তিনি ১৫ তারিখ এসে নম্বর শিটে ১৬ তারিখের পরীক্ষার নম্বর দিয়ে চলে যান। এই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বললে দুটো পত্রিকায় নিউজ হয়। তখন প্রেসক্লাবের যে ফেসবুক গ্রুপ আছে সেখানে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিয়েছে।’

ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের অনার্স ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী আহসাবুল ইয়ামিন রিয়াদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত ৩০ মার্চ একটি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ভুল তথ্য দিয়ে 'অভিনেতা মনোজের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ' শিরোনামে যেই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে সেটির কোনো ভিত্তি নেই। সেখানে শিরোনামটাই ভুলভাবে উত্থাপন করা হয়েছে। কারণ স্বাক্ষর জালিয়াতি বলতে বুঝায়, অন্যের স্বাক্ষর নিজে দেয়া ৷ যদি স্যার নিজে স্বাক্ষর দেয় তাহলে জালিয়াতি করল কখন!’

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও দু'জন শিক্ষার্থী জানান, জাককানইবি প্রেসক্লাবের সভাপতি নিহার সরকার অংকুর ফিল্ম এ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে বিভিন্ন সময় নম্বর কম পাওয়ায় মনোজ স্যারকে পছন্দ করতেন না। তিনি ভাবতেন ওই শিক্ষক তাকে ইচ্ছে করেই নম্বর কম দিতেন। এজন্য শিক্ষকের প্রতি মনোক্ষুণ্ণ হয়ে ইশারা-ইঙ্গিত করে ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন। তাদের ধারণা, তিনিই হয়ত নিজের অনুগত সংবাদকর্মীকে দিয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।

জাককানইবি প্রেসক্লাবের ফেসবুক পোস্ট

অভিযোগ প্রসঙ্গে মনোজ কুমার প্রামাণিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমত, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই হয়নি। এটা একটা ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়েছে। যার কোনো লিখিত ডকুমেন্টস নেই। কারও ব্যক্তিগত স্বার্থে আঘাত লাগলে মনগড়া একটা কথা তিনি ফেসবুকে লিখলে তো অভিযোগ হলো না। আমার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং কোনো শিক্ষক তো অভিযোগ করেননি।’

আপনার সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতা আছে কি না, এই প্রশ্নে বলেন ‘আমার সঙ্গে কারও কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে যিনি এটা করেছেন তার ফেসবুকে আগেও এমন অনেক পোস্ট আছে শিক্ষকদের টিজিং করে লেখা। যেগুলো দিয়ে তিনি ব্ল্যাকমেইল করে টাকা চেয়েছেন বলে জানি। তার কি স্বার্থ আমি জানিনা। তবে এ ঘটনা তিনি নতুন ঘটাননি। আর এই ধরনের পোস্টগুলোকে কেন্দ্র করে লোকাল পত্রিকা এর আগেও এমন নিউজ করেছে।’

ছবি: কোলাজ/নিউজবাংলা

৩০ মার্চ ওই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছিল আমার সংবাদ পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে। এই পত্রিকার ক্যাম্পাস প্রতিনিধির নাম নবাব। তিনি জানান, নিউজে মিথ্যা ও বানোয়াট কোনো তথ্য নেই। আমি যা জেনেছি সেটাই প্রকাশ করেছি।’

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তুহিন অবন্ত বলেন, ‘যেই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা তথ্য প্রমাণ ছাড়া এই নিউজ করল কিভাবে! গত ১৬ তারিখে পরীক্ষা হয়েছে। সেদিন উনার (শিক্ষক মনোজ কুমার প্রামাণিক) অফিস ছিল। এর এক সপ্তাহ আগে ভারতে যাওয়ার জন্য ছুটির নিতে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তিনি না যাওয়ার কারণে ছুটি বাতিল হয় ১৭ তারিখ থেকে। ওই শিক্ষকের কোনো অপরাধ নেই। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত। অংকুরের হুমকি প্রসঙ্গে বলেন, আমি স্টাফদের কাছ থেকে শুনেছি বিভাগে এসে শাসিয়ে গেছেন।’

ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগটি কলা অনুষদের আওতাধীন। এ অনুষদের ডিন ও সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম নিউজবাংলাকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিলে সত্য উদঘাটন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর