বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদযাত্রায় সিরাজগঞ্জের সড়কে ভোগান্তির শঙ্কা

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২৩ ১১:৩০

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক। এ মহাসড়ক দিয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিক সময়ে দিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় দুই থেকে তিন গুণ। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ আর রাস্তা প্রশস্তকরণ ও সংস্কারকাজে ধীরগতি থাকার কারণে সৃষ্টি হয় যানজট। আর এতে যাত্রীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি।

ঈদে প্রতি বছরই উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে। ব্যতিক্রম নয় এবারও, কিন্তু মহাসড়কে সংস্কারকাজ এখনও শেষ না হওয়ায় ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক। এ মহাসড়ক দিয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২টি জেলার যানবাহন চলাচল করে।

স্বাভাবিক সময়ে দিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় দুই থেকে তিন গুণ। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ আর রাস্তা প্রশস্তকরণ ও সংস্কারকাজে ধীরগতি থাকার কারণে সৃষ্টি হয় যানজট। আর এতে যাত্রীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল হয়ে চান্দাইকোনা মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটারজুড়ে ছোট-বড় মিলে ২০টি স্থান সংস্কারের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যানজটের বেশি আশঙ্কা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০ রোজার মধ্যে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থান সংস্কার করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে যা দেখা গেল

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল হয়ে চান্দাইকোনা মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটারজুড়ে বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ রয়েছে। বেশ কিছু লেনের অবস্থা ভালো নয়। এ ছাড়াও নির্মাণাধীন ফোর লেনের অনেক স্থান এক লেনে গিয়ে মিলিত হওয়ায় তৈরি হয়েছে বাঁক। সেসব জায়গায় গাড়িগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।

এ মহাসড়কে কোনাবাড়ী, ঝাঈল, গোলচত্বর ফুড ভিলেজ, নলকা, পাচলিয়া, মুলিবাড়ি, সয়দাবাদ, চান্দাইকোনা ব্রিজ, জমজম হোটেল, হাটিকুমরুল, ভুইয়াগাতী, সাহেবগঞ্জ সড়ক রয়েছে বেশ ঝুঁকিতে। এ ছাড়াও নবনির্মিত নলকা সেতুর উত্তরের লেন খুলে দিলেও ঢাকামুখী লেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ঢাকামুখী লেন বন্ধ করে দেয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন সেতু দিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

কী বলছেন চালকরা

সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের কয়েকজন চালক বলছেন, সড়কের বেশ কিছু অংশ সংস্কার করলে যানজট নিরসন কিছুটা হলেও সম্ভব।

মহাসড়কে চলাচলকারী জয়পুরহাট থেকে ঢাকাগামী ট্রাকের চালক ওসমান জামান বলেন, ‘এই মহাসড়কে বেশ কিছু জায়গায় খানাখন্দে ভরা। গাড়ি নিয়ে চলার সময় আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়।’

বাসচালক জামাল শেখ জানান, যানজট নিরসনের জন্য চালকদের সঠিকভাবে গাড়ি চালাতে হবে। পাশাপাশি ঈদের সময় প্রশাসনকে ভূমিকা রাখতে হবে।

বগুড়া থেকে আসা বাসচালক হুমায়ুন ইসলাম জানান, এক সড়ক থেকে অন্য সড়কে যাওয়ার সময় গাড়ি বাঁক নিতে হচ্ছে, যে কারণে গতি কমে আসছে। আর এই মহাসড়কে এক মিনিটের ধীরগতি হলেই পেছনে ৪০ থেকে ৫০টি গাড়ি আটকে পড়ে।

যে ব্যবস্থার কথা জানালেন সংশ্লিষ্টরা

ঈদকে সামনে রেখে যানজট মোকাবিলায় জেলা পুলিশ, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন মহাসড়কে চলমান প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বেশ কিছু স্থান নির্ধারণ করে তারা এরই মধ্যে সংস্কারকাজ শুরু করেছেন।

হেগো-মির আকতার জেভির প্রকল্প ম্যানেজার এখলাস উদ্দিন বলেন, ‘সংস্কারকাজ চলছে। আশা করছি আগামী ২০ রোজার মধ্যে কাজ শেষ হবে। তখন আশা করা যাচ্ছে এই সড়কে আর যানযট হবে না।

‘এ ছাড়াও যানজট রোধে এই সড়কের ৫টি ব্রিজ ঈদের আগেই খুলে দেয়া হবে।’

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘ঈদযাত্রায় যাত্রী দুর্ভোগ কমানোর জন্য সওজের সাসেক-২ প্রকল্পের কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো সংস্কারে তাগিদ দেয়া হয়েছে।

‘১৪টি অংশের প্রায় ২০টি স্থান তাদের নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো সংস্কার হলে যানজটের সম্ভাবনা কমে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর