টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের যানজট।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে মহাসড়কে যানবাহনের অব্যাহত চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে ঢাকামুখী লেনে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ.এস.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানের কারণে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। এতে মঙ্গলবার রাত ১টা থেকে মহাসড়কটির গজারিয়া অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তা দাউদকান্দি পার হয়ে আরও অনেক দূর চলে যায়।
‘বুধবার রাতভরও যানজট ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে যানবাহের চাপ কিছুটা কমলেও গজারিয়া অংশে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট রয়েছে। যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা। আশা করছি দুপুরের মধ্যে মহাসড়কে যান চলাচলের স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দের অষ্টমী স্নান শুরু হয় মঙ্গলবার। এদিন সন্ধ্যা ৭ টা ০৫ মিনিটে লগ্ন শুরু হয়। একবারের অষ্টমী স্নান উৎসব দেশ-বিদেশ মিলিয়ে ১০ লাখের বেশি পুণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিন্দু শাস্ত্র মতে, দেবতা পরশুরাম হিমালয়ের মানস সরোবরে স্নান করে পাপমুক্ত হন। হিমালয়ের মানস সরবরের পানি ব্রহ্মপুত্র নদে মিশেছে। প্রতি বছর চৈত্র মাসে পূণ্য লাভের আশায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জড়ো হন নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে। সেখানে স্নান করে নিজেদের পাপমোচন করেন। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে আসেন এই অষ্টমী স্নানে।