ময়মনসিংহে বাড়িতে বৃষ্টির পানি যাওয়ার জন্য পাইপ লাইন বসানোকে কেন্দ্র করে সাবেক সেনা সদস্য মমতাজ উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় আরেক সাবেক সেনা সদস্য মো. রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে নেত্রকোণার সদর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৬২ বছর বয়সী গ্রেপ্তার রেজাউল করিম নেত্রকোণার পূর্বধলা থানাধীন খামারহাটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া চুকাইতলা এলাকায় বসবাস করতেন।
৫৮ বছর বয়সী নিহত মমতাজ উদ্দিন নগরীর একই এলাকার বাসিন্দা।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয় জানান, সাবেক সেনা সদস্য মমতাজ উদ্দিন ও সাবেক সেনা সদস্য মো. রেজাউল করিমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে তাদের বসতবাড়িতে বৃষ্টির পানি যাওয়ার জন্য পাইপ লাইন বসানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গত ২৫ মার্চ সকাল ৯টার দিকে মমতাজ উদ্দিনের সাথে রেজাউল করিম, তার ছেলে শেখ মাহমুদুল হাসান হৃদয়, শেখ মাকসুদুল হাসান সাগর ও স্ত্রী শরিফা আক্তারের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়।
তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে রেজাউল করিমসহ তার দুই ছেলে ও স্ত্রী মমতাজ উদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্য বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করে।
এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় মমতাজ উদ্দিন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মমতাজের স্ত্রী পারভীন আক্তার। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ময়মনসিংহ সেনানিবাসে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয় বলেন, ‘এ ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে রেজাউল করিমসহ চারজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে ছায়াতদন্ত শুরু করে ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে র্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রেজাউল করিমের পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’