দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩’ পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন সরকারে আসে তখনই কিন্তু ধীরে ধীরে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে শুরু করে। কারণ ক্ষমতাকে আমরা বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ হিসেবেই দেখি।
‘অনেক চড়াই-উতড়াই, অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। ২০০৮-এ নির্বাচিত হয়ে ২০২৩; এই একটানা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই কিন্তু আজকের উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, মহান অর্জনের জন্য মহৎ ত্যাগ প্রয়োজন। যে কোনো অর্জনের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, সেই ত্যাগ স্বীকার করতে পেরেছি বলেই আমাদের অর্জনগুলো একে একে আমরা জনগণের কল্যাণে আনতে পেরেছি।’
৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পরের সময়ের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বারবার গণতন্ত্র থমকে দাঁড়িয়েছে, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকতে পারেনি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকতে পারেনি; কাজেই বাংলাদেশও সেভাবে এগোতে পারেনি। ক্ষমতাসীন যারা ছিল তাদের বাংলাদেশ নিয়ে কী চিন্তা-ভাবনা ছিল সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে।’
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত ছিল কিন্তু করোনা ভাইরাসের অতিমারি সে অগ্রযাত্রা কিছুটা স্থিমিত করে দেয়। এরপর আসলো রাশিয়া ক্রেন যুদ্ধ, উন্নত দেশগুলোও এখন হিমশিম খাচ্ছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে।’
বিগত বছরগুলোতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে দারিদ্র্য কমে আসার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার যেখানে ৪০ ভাগের ওপরে ছিল সেখানে আমরা কমিয়ে এনেছি ২০ ভাগে। আরও একটি সুখবর দিতে পারব, আমাদের দারিদ্র্যের হার আরও হ্রাস পেয়েছে। যেটা সঠিকভাবে এখন তথ্য নেয়া হচ্ছে।
‘সেই সঙ্গে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাকে ধরে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে।’