নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বৃদ্ধসহ দুজন হতাহতের ঘটনায় মামলা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
এ মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷ এদের মধ্যে রয়েছেন নিহত আবুল কাশেমের ছেলে নজরুল ইসলাম, তার ৩ ভাতিজা ও নাতি। গত শুক্রবার ঘটনার পর মধ্যরাতে তাদের আটক করে র্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে-আবুল কাশেমের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০), তিনি পেশায় জামদানি কারিগর, তার তিন ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), আমানুল্লাহ (৪২) হযরত আলী এবং মো. রুবেল (২৫)।
রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট সানজিদা সারোয়ারের আদালতে নিহত বৃদ্ধর ছেলেসহ পাঁচজনকে তোলা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
গত শনিবার মধ্যরাতে সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁ গ্রামে হত্যা মামলার এক আসামিকে ধরতে গিয়ে র্যাবের অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আছেন আরেক জন। র্যাবের দাবি, আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় গ্রামবাসী৷ এ ঘটনায় ওই রাতেই পুনরায় অভিযান চালিয়ে ২ কিশোরসহ আটক করা হয় ২০ জনকে।
শনিবার সারাদিন র্যাব হেফাজতে থাকার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয় আটককৃত ১৫ জনকে৷ তবে র্যাবের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বাকি পাঁচজনকে৷
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক আহসান উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, র্যাব মামলা করেছে, পুলিশ তদন্ত করবে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে বৃদ্ধর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও মামলা করেনি।
র্যাব-১১–এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, হত্যা মামলার আসামি ধরতে গেলে দুষ্কৃতিকারীররা ওই হামলা চালিয়ে ছিল। আমাদের চারজন আহত হওয়ার পর তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ১৫ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।