ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বপ্ন প্রত্যেক ফুটবলারই দেখে। অনেকে সারাজীবনেও জিততে পারে না। আবার লিওনেল মেসির মতো ফুটবল যাদুকর জেতেন সর্বোচ ৮বার। ক্রিস্টিয়ানোর রোনালদোর হাতে উঠেছে ৫ বার। বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ফুটবলে খেলা প্রত্যেকটা তরুণ ফুটবলারই ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বপ্ন দেখে বড় হন। যেটা কিনা তাকে বিশ্বসেরার স্বীকৃতি দেয়। বার্সেলোনার ‘স্পেশাল’ বয় লামিনে ইয়ামাও স্বপ্ন দেখেন এই ট্রফি হাতে নেওয়ার।অ্যাক্টিভওয়্যার এবার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি জয়ের লড়াইয়ে বেশ ভালোভাবে থাকা স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ড বললেন, কেবল একবার নয়, ক্যারিয়ারে অনেকবার এই স্বাদ পেতে চান তিনি।
বয়স কেবল ১৮ বছর। এই অল্প বয়সেই ফুটবল বিশ্বে তারকাখ্যাতি পেয়ে গেছেন ইয়ামাল। পায়ের জাদুতে হয়ে উঠেছেন সময়ের সেরাদের একজন। এরই মধ্যে একাধিক রেকর্ডও ভেঙেছেন তিনি। গত মৌসুমে পিএসজির ট্রেবল জয়ে বড় অবদান রাখা উসমান দেম্বেলেকে এবারের ব্যালন ডি’অর জয়ের সবচেয়ে বড় দাবিদার মনে করা হচ্ছে। তবে বার্সেলোনার লা লিগা, কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে ভূমিকা রাখা ইয়ামালের হাতেও পুরস্কারটি দেখছেন অনেকে। আগামী ২২শে সেপ্টেম্বর প্যারিসে হবে ব্যালন ডি’অর অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। এই জয়ী নির্বাচিত হয় সাংবাদিকদের ভোটে। এরই মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে এবং আয়োজক ‘ফ্রান্স ফুটবল’ তা গোপন রেখেছে। চলতি সপ্তাহে এক পডকাস্টে ব্যক্তিগত সাফল্যের লক্ষ্য নিয়ে ইয়ামাল বলেন, ‘বন্ধুদের বলেছি, আমি কেবল একবার ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বপ্ন দেখি না, অনেকবার এই পুরস্কার পাওয়ার স্বপ্ন দেখি।’ আর ক্যারিয়ারে কখনও যদি ব্যালন ডি’র জিততে না পারেন, তাহলে নিজেকেই দায়ী করবেন এই ফুটবলার। ইয়ামাল বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি এমন একজন ফুটবলার যার এই পুরস্কার জয়ের সামর্থ্য আছে। আর যদি জিততে না পারি, তাহলে এর কারণ হবে, আমিই সবকিছু ঠিকঠাক করিনি কিংবা আমার এটা পাওয়ার তাড়না ছিল না। তাই, আমি অনেকবার ব্যালন ডি’অর জয়ের স্বপ্ন দেখি এবং যখন সেই দিন আসবে (পুরস্কারটি জিতব), তখন খুবই খুশি হব।’
এরই মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে একশর বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন ইয়ামাল। গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল করার পাশাপাশি ২৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়েও বড় এক শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ইয়ামাল। স্পেনের ২০২৪ সালে ইউরো জয়ে এই রাইট উইঙ্গার একটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থের চারটি গোলে রাখেন অবদান। চলতি মৌসুমেও ছন্দে আছেন তিনি। সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুই ম্যাচে গোল করতে না পারলেও তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। আর বার্সেলোনার জার্সিতে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে করেছেন দুই গোল, করিয়েছেন তিনটি।