বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবি শিক্ষার্থীদের ওপর জাহাজকর্মীদের হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ

  • প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ১৯ মার্চ, ২০২৩ ১৫:১৯

আন্দোলনরত স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন করেছিলাম। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল জড়িতদের আটক করবে, কিন্তু কাউকে আটক করা হয়নি; বরং আটক একজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ দেখতে চাই৷ আমরা পাঁচ দফা দাবি দিয়েছি।’

কক্সবাজারের টেকনাফে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিচাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ব্রে-কুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের স্টাফদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট চত্বরে অবস্থান নেন বিভাগটির শতাধিক শিক্ষার্থী।

ওই সময় তারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে ১টার দিকে তারা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যহার করেন।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা

১. এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত জাহাজের স্টাফদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার।

২. বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের লাইসেন্স আজীবনের জন্য বাতিল করা।

৩. বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজ কর্তৃপক্ষের বিবৃতি প্রত্যাহার করে লিখিত মুচলেকা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা।

৪. জাহাজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জানমালের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান।

৫. দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।

আন্দোলনরত স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন করেছিলাম। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল জড়িতদের আটক করবে, কিন্তু কাউকে আটক করা হয়নি; বরং আটক একজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমরা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ দেখতে চাই৷ আমরা পাঁচ দফা দাবি দিয়েছি।’

আনোয়ার হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মামলা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে। আমরা সেই ব্যাপারে এখনও কোনো পদক্ষেপ দেখিনি।

‘আমাদের শিক্ষক বাদী হয়ে মামলা করেছে, তবে আমরা চাই এই দায়িত্ব যেন বিশ্ববিদ্যালয় নেয়, তারা যেন মামলা করে।’

অন্যদিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে করা চবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন থেকে দাবি জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে যেন এই ঘটনায় মামলা ও আইনি পদক্ষেপ নেয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, অর্থনীতি বিভাগ, প্রক্টরিয়াল বডি ও চবি শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠনের দাবি জানানো হয়।

চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ‘এই ঘটনায় একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে এবং এটিকে ফলোআপে রাখতে হবে। ঢাকাসহ কেন্দ্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের কারও সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে যে প্রক্রিয়ায় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়, সেইভাবে এই ঘটনায় জড়িতদের অতি দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম এই ঘটনার পর দ্রুত বিচার হবে, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা স্থানীয় প্রশাসন থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখতে পাইনি।

‘এখন আর সমঝোতার প্রশ্ন নেই, যারা লাঞ্ছিত হয়েছেন, তারা আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী নয়, সমগ্র দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমাজকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি মামলার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের; বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নয়। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। মূলত এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা বর্তমান সরকারের সাফল্যকে ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা যদি কার্যকর পদক্ষেপ না দেখি, আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

প্রেক্ষাপট

গত ১৪ মার্চ সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট ও টেকনাফ জেটিঘাটে পরপর দুই দফা জাহাজ স্টাফ ও স্থানীয় লোকজনের হাতে হামলার শিকার হন চবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার পর টেকনাফ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

ঘটনার পরে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর এলাকা এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।

এ বিভাগের আরো খবর