ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র্র মোদি বলেছেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন দুই দেশের মধ্যে শক্তি নিরাপত্তায় সহযোগিতা বাড়াবে। আমি নিশ্চিত যে এই পাইপলাইন বাংলাদেশের উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে এবং উভয় দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংযোগের একটি চমৎকার উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি পাইপলাইন উদ্বোধনের সময় নরেন্দ্র মোদি এমন মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার দূরদৃষ্টির জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ভারতীয় এটি নিয়ে গর্বিত এবং আমরা আনন্দিত যে আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অবদান রাখতে পেরেছি।
‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সূচনা করা হয়। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল সরবরাহের খরচ কমবে এবং সরবরাহের কার্বন ফুটপ্রিন্টও কমবে।’
দুই বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, দুই দেশ একসঙ্গে এ ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে। দুইদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে কোভিড ভ্যাকসিন ও অক্সিজেন প্রেরণে ভারত সহায়তা করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর একদিন পর এ পাইপলাইনের উদ্বোধন হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি এই উদ্বোধনকে এক শুভ সমাপতন বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রূপকল্পে সমগ্র অঞ্চলের সম্প্রীতি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই যৌথ প্রকল্প সে দৃষ্টিভঙ্গির একটি নিখুঁত দৃষ্টান্ত।’
মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই প্রকল্পের বিষয়ে তার সার্বক্ষণিক দিকনির্দেশনার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের জনগণের স্বার্থে তার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।