বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান উদ্ধারের ঘটনার মামলা কীভাবে রাজনৈতিক হয় সে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে সোমবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে এ প্রশ্ন তোলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা রাজনৈতিক হয় কীভাবে? এই ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ই কিন্তু তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত। এমনকি খালেদা জিয়ার মন্ত্রীরাও সাজাপ্রাপ্ত।
‘এরা যদি এটাকে রাজনৈতিক বলে তাহলে জনগনই এর বিচার করবে। এটা জনগণের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি। এরা সব সময়ই জনগণের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করে। জনগণের সঙ্গে মোনাফেকি করে। এই অস্ত্র চোরাকারবি করাই তাদের ব্যাবসা। সেটাও তারা রাজনৈতিকভাবে দেখছে। এ বিষয়ে কী আর বলবো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসলে ওদের (বিএনপি) জন্মই হয়েছে অস্ত্র হাতে নিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। একজন সেনা বাহিনীর প্রধান আবার সেই অবস্থায় নিজেকে রাষ্টপতি ঘোষণা দেন ক্ষমতা দখল করে। ’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এদের (বিএনপি) কাছে জনগণ কী আশা করে লুটপাত করা, দুনীতি করা ছাড়া। কারণ বিএনপি, খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের দুনীতির কথা আমাদের না, আমেরিকার এফবিআই খুঁজে বের করেছে।
‘তাদের পাচার করা ৪০ কোটি উদ্ধার করে বাংলাদেশ ফেরত এনেছে। এটা সকলের মনে রাখা উচিৎ। সেটাও রাজনৈতিক বলবে? সরাসরি অস্ত্র চোরাকারবারি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, গ্রেনেড হামলা...এটাও কি রাজনৈতিক!’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ রাজনৈতিকভাবে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছে, তাই তো। ওরা রাজনীতির কী জানে? ওদের রাজনীতির মধ্যে জন্ম না তো । জন্ম তো অস্ত্র হাতে নিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে। সেটা মনে রাখলেই চলবে। ওদের কাছে জনগণ কিছুই আশা করতে পারে না।’