বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসিতে নিবন্ধন পাওয়ার ‘পাস নম্বর’ জানালেন কমিশনার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ১২ মার্চ, ২০২৩ ১৬:১০

মো. আলমগীর বলেন, ‘কারও ভাবনা দ্বারা পরিচালিত হয় না। আইন ও বিধিতে যা কিছু দেয়া আছে, সে শর্ত যারা শতভাগ পূরণ করতে পারবে তারা নিবন্ধন পাবে। যারা একটি মাত্র পূরণ করতে পারবে না, তারা পাবে না। এক শতে এক শ পেতে হবে। ৯৯ পেলে হবে না।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো দলকে কীসের ভিত্তিতে নিবন্ধন দেয়া হবে, তা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রোববার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিবন্ধন পেতে চাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক শতে এক শ পেতে হবে। ৯৯ পেলেও নিবন্ধন দেয়া হবে না।

তিনি জানান, চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে নতুন দলগুলোর যাচাইয়ের কাজ শেষ করার বিষয়ে আশাবাদী ইসি।

নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধন আবেদন চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৯৩টি রাজনৈতিক দলের আবেদন জমা পড়ে।

চালানের টাকা ও সঠিকভাবে নিবন্ধনের আবেদন ফরম পূরণ না করায় ১৪টি দলের আবেদন বাতিলের সুপারিশ করে ইসি।

৭৭টি দলকে আবেদন সম্পূর্ণ করার জন্য চিঠি দেয়ার পক্ষে ইসি। এ ছাড়া দুটি দল নিজেরাই তাদের আবেদনপত্র প্রত্যাহার করে নেয়।

কমিশন আইন দিয়ে পরিচালিত হয় জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘কারও ভাবনা দ্বারা পরিচালিত হয় না। আইন ও বিধিতে যা কিছু দেয়া আছে, সে শর্ত যারা শতভাগ পূরণ করতে পারবে তারা নিবন্ধন পাবে। যারা একটি মাত্র পূরণ করতে পারবে না, তারা পাবে না। এক শতে এক শ পেতে হবে। ৯৯ পেলে হবে না।’

রাজনৈতিক দলগুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু যারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন দুটো দল। বাকিগুলোর সংখ্যা বলতে পারব না। তাদের কাগজপত্র শর্টেজ ছিল। ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছিল। যারা দিয়েছেন তাদেরগুলো আমরা দেখব। আর যারা দিতে পারেননি, সেগুলোও আমরা দেখব। ‘তারপর কমিশন দেখবে যাচাই-বাছাই করে। যাচাই- বাছাই শুরু হয়ে গেছে। জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করব।’

প্রয়াত নাজমুল হুদার তৃণমূলক বিএনপিকে নিবন্ধন দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের তো আর কিছু করার নেই। উনি মারা গেছেন। উনার দলের যারা আছেন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী চেয়ারম্যান কে হবেন বা কী হবে। সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।’

ওই সময় নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া বিধি অনুযায়ী হবে বলে জানান তিনি।

নতুনদের অনেকেই সরকার দলের পছন্দের বাইরে আছে। এ ক্ষেত্রে প্রভাবমুক্ত থেকে নিবন্ধন দেয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘আইন ও বিধি অনুযায়ী যারা পাওয়ার যোগ্য, তারা নিবন্ধন পাবে। যারা পাওয়ার যোগ্য নয়, তারা পাবে না। আইনের বাইরে কোনো কিছু বিবেচ্য বিষয় নাই।

‘যাদের কাগজপত্র ঠিক আছে, তাদেরটাই কেবল মাঠপর্যায়ে যাচাই হবে। বাকিগুলো হবে না।’

নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক সুপারিশ আসেনি জানিয়ে এ কমিশনার বলেন, ‘কোথাও থেকে কোনো সুপারিশ আসবেও না।’

নিবন্ধন পাওয়ার বাধার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘স্পষ্ট করেই বলা আছে। আমাদের বলার কিছু নাই। যেমন: যদি মনে করেন ধর্মীয় বা জাতিগত বৈষম্য রাখা হয়, ঘৃণা ছড়ানো হয়, এমন কিছু গঠনতন্ত্রে থাকে, তাদের যে কমিটি যেগুলো আছে, সেগুলো ঠিকমতো না হলে, সংবিধানবিরোধী কিছু থাকলে পাবে না।

‘আইনে এবং বিধির বাইরে কিছুই চলবে না। আমরা আইন এবং বিধি অনুযায়ী দেখব। অন্য কিছু দেখার সুযোগ নাই।’

নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী নতুন দল হিসেবে নিবন্ধিত হতে হলে একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা/মহানগর থানার প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সংবলিত দলিল থাকার শর্ত পূরণ করতে হবে।

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সাল থেকে দলের নিবন্ধন প্রথা চালুর পর ৪৫টি দল নিবন্ধন পায়। এর মধ্যে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় বর্তমানে নিবন্ধিত দল ৪০টি।

এ বিভাগের আরো খবর