তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে আস্থার সঙ্কট নেই। বরং সম্প্রীতি বিরাজমান। বিচ্ছিন্ন যেসব ঘটনা, তা শুধু চাঁদাবাজির কারণে হচ্ছে।’
শনিবার খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে জেলা কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই বিভেদ দূর করে পার্বত্য শান্তিচুক্তি করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি করেছেন। তার নেতৃত্বে পাহাড় ও সমতলে আমূল পরিবর্তন হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং বিশ্বে মর্যাদার আসন বিএনপির দণ্ডিত পলাতক নেতা তারেক রহমানের সহ্য হচ্ছে না। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত খালেদা জিয়ার অন্তর জ্বলে যাচ্ছে। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বকবক করছেন।
‘১০ ডিসেম্বর সরকারকে দড়ি ধরে টান দিতে গিয়ে তারা নিজেরাই চিৎপটাং হয়ে গেছে। এরপর টান দিলে দড়ি ছিঁড়ে তাদের হামাগুড়ি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত এবং আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, কৃষক-শ্রমিকের দল, রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা দল। আমরা রাজপথ কাউকে ইজারা দেইনি, রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব।’
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কৃষির প্রতি ভালোবাসা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, গণভবনে মৌমাছির চাষ করে একশ’ কেজি মধু হয়েছে। সেখানে অন্যান্য শাকসবজি উৎপাদন হচ্ছে, ধানও হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করেন, দল পরিচালনা করেন আবার কিষাণী হিসেবেও কাজ করেন।’
এর আগে সকালে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক পিন্টু ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু প্রধান বক্তা এবং ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, বাসন্তি চাকমা এমপি, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
সম্মেলন শেষে পিন্টু আচার্য্যকে সভাপতি এবং খোকন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষক লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।