অনলাইন জুয়ার সফটওয়্যার ডেভেলপার (অ্যাপ ডেভেলপার), প্রধান এডমিন ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
মঙ্গল ও বুধবার রাতে রংপুর, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী ও দিনাজপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আবুল কালাম আজাদ,সুজন মিয়া ও ভবানী রায়।
এটিইউ জানায়, জুয়ার অ্যাপটি থেকে অবৈধ ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে প্রতি ঘন্টায় ৪০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন করা হতো। মোবাইল ফাইন্যান্সিং সার্ভিসের অস্বাভাবিক লেনদেনের সঙ্গে সন্ত্রাসী অর্থায়নের বিষয় সংশ্লিষ্ট রয়েছে কি না তা অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই অ্যাপের বিষয়টি সামনে আসে।
এটিইউর মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে রংপুর মুলাটুল পুকুরপাড়ের একটি ছাত্রাবাস থেকে আজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন অর্থাৎ বুধবার দুপুর কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী বীর বারইটারি গ্রাম থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন রাতে দিনাজপুর খানসামা থেকে ভবানীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে অনলাইন জুয়ার অ্যাপ্লিকেশন পরিচালনার কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, ১০টি মোবাইল সেট, ১৯টি সিম কার্ড, একটি এসডি কার্ড ও ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার সুজন জুয়ার অ্যাপের ডেভেলপার। তিনি ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই অ্যাপের সাবস্ক্রিপশন বিক্রি করতেন। আজাদ এই অ্যাপের এডমিন হিসেবে কাজ করতেন। আর ভবানী রায়ের ব্যবহৃত ২০টির বেশি সিম কার্ড ব্যবহার করে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ অনলাইন জুয়ায় অংশগ্রহণ করে অনেক সাধারণ লোক সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এ চক্রের আরও সদস্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে এবং দেশব্যাপী অনলাইন জুয়া পরিচালনা করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।