‘বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে একযোগে বেশ কয়েকটি শান্তি সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে আয়োজিত এসব সমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।
ঢাকা দক্ষিণে সমাবেশ হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, ধানমণ্ডি- ৩২ নম্বর, ঢাকেশ্বরী বালুর মাঠ, মুগদা স্টেডিয়াম এবং শ্যামপুর রেল গেট এলাকায়।
ঢাকা উত্তরে অনুষ্ঠিত হয় চারটি সমাবেশ। সেগুলো হলো- মিরপুর ১ নম্বর গোলচত্বর, মোহাম্মদপুর টাউন হল, উত্তরায় আমিন কমপ্লেক্সের সামনে এবং মধ্য বাড্ডা ইউলুপে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অংশ নেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস প্রমুখ।
যাত্রাবাড়ী ডেমরার সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
ঢাকেশ্বরী বালুর মাঠের আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সামনের সমাবেশে অংশ নেন সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান।
মুগদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতৃত্ব দেন আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।
মিরপুরের সমাবেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মোহাম্মদপুর টাউন হলে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, উত্তরায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং বাড্ডায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
এসব সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের পথ ছেড়ে বিএনপিকে গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসার আহবান জানান। তারা বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় নির্বাচন। তাই বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বপ্ন দেখছেন, তাদের সে স্বপ্ন এ বাংলার মাটিতে আর বাস্তবায়ন হবে না। এদেশে সংবিধান অনুযায়ী নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপিকে আমরা শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী দেখতে চাই।’