ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, আগামী এপ্রিল মাস থেকেই রাজধানীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সব বাস কাউন্টার টার্মিনালের ভেতরে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বুধবার নগরীর খিলগাঁও এলাকায় ‘খিলগাঁও সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’-এর ভিত্তি স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘গণপরিবহন ব্যবস্থার যে নাজুক এবং বিশৃঙ্খল অবস্থা, এর পেছনে অনেক চক্র ও স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে। তারা চাইবে না যে এটা শৃঙ্খলার মধ্যে আসুক। কিন্তু আমরা দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছি।
‘আজ (বুধবার) আমরা মালিক-শ্রমিক সমিতি এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মিলনায়তনে সভা করব। উত্তরের মেয়র মহোদয়ও সেখানে থাকবেস। আমরা আশাবাদী, যত বাধাই আসুক না কেন ইনশাআল্লাহ আমরা ঢাকা শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে সক্ষম হব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা বলেছি যে যত্রতত্র কাউন্টার এবং সেই কাউন্টার ঘিরে রাস্তার ওপর গাড়ি রেখে দেয়া, যানজট সৃষ্টি করা- এগুলো আর হতে দেয়া হবে না। এজন্য যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন ছিল আমরা সায়দাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন করেছি এবং সেটার পরিসর আমরা বৃদ্ধি করেছি।
‘সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাজ চলতি মার্চ মাসের মধ্যেই শেষ করতে পারব। সুতরাং সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল আধুনিক হওয়ার পর বাইরে যত্রতত্র কাউন্টারের আর প্রয়োজন হবে না। আগামী এপ্রিল মাস থেকেই যেন সব বাস কাউন্টার টার্মিনালের ভেতরে চলে আসে আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। পর্যাপ্ত কাউন্টারের ব্যবস্থা করেছি এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে বাসগুলো সড়কে না রেখে তারা টার্মিনাল ব্যবহার করবে। টার্মিনালের ভেতরে ডিপোর ব্যবস্থা করেছি। তাহলে ঢাকা শহরে একটি শৃঙ্খলা আসবে এবং যত্রতত্র যানজটও থাকবে না। আমরা নগরবাসীকে যানজটমুক্ত একটি সচল ঢাকা উপহার দিতে চাই।’
এরপর মেয়র নৌপথে মান্ডা খাল পরিদর্শন, বঙ্গবাজার এলাকায় আধুনিক খাদ্য পরীক্ষাগার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।